পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘চলুন । ‘আচ্ছা, আমি ফোনে জুলফিকারের সঙ্গে দিন ঠিক করে জানাব আপনাকে । —যেন জুলফিকারই পির সাহেব । খুব সেয়ানা নমিত । ধরে ফেলেছে নিশীথের ইশারা । যেখানে সপ্তর্ষি তারাগুলো ঘুরে এসে স্থির হয়েছে, নিশীথ মুখ তুলে তাকিয়ে দেখল, জানলার ভিতর দিয়ে সেই আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে নমিত । কিন্তু নিশীথ নিস্তব্ধ হয়ে অাছে অনুভব করে পৃথিবীতে ফিরে এসে মাটর গন্ধে আসক্ত মৃত্তিকার নারীর মত ধুলোমাটির খোজে তাকাল । ‘ছাদে চলুন । ‘সিড়ি কোনদিকে ? এর আগে যখন এ বাড়িতে এসেছি তখন ছাদে উঠবার কথা মনেই হল নি কোনো দিন । জিতেনও বলে নি কিছু । ছাদ যে আছে খেয়ালই ছিল না আমাদের কারেণ । নিশীথ বললে । কী যেন বলতে গিয়ে থেমে গেল নমিত । ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বললে, ‘সাড়ে চার । চলুন। আমি নিয়ে যাচ্ছি। চোখ বুজে চলুন'—বললে নিশীথকে । কিন্তু নিশীথ বসেই রইল সোফীর উপর । ছাদে না গিয়ে ও এ ঘরেও এই মুহূর্তে মন যে-সব অন্তিম জিনিস চাচ্ছে, শরীরকে ও সুপাত্র হিসেবে আহবান করে মনের সে সব দাবি মেটানো কেন যেন এখন অণর দুঃসাধ্য বলে মনে হচ্ছে না নিশীথের । কথা অনেক বলা হয়েছে ; কথা বলতে চাইবে না নগরী আর, চাইবে না পুরুষ আর.একটু নিস্তব্ধ হয়ে থাকতে চাইবে মানুষের যা প্রাপ্য নয় সেই নিঃসময়ের ভিতর, মানুষের যা প্রাপ্য সেই খণ্ড সময়কে অনুনয় করে সরে যেতে বলে । জানে তো নমিতা । নিশীথ যে জানে তা ও জানে । কিন্তু তাও কথাই বলবে নিশীথ, নমিতকে দিয়ে কথাই ব লগবে, ছাদে যাবেনা, কিছু করবে না । জল খাবে বলে উঠে দণডাল নিশীথ । "দিচ্ছি । —নমিতা বললে । যে গেলাসে এইমাত্র নিজে জল খেয়েছিল, না-ধুয়ে সেই গে লাসেই জল বরফ ভর্তি করে নিশীথকে দিল নমিত । পৃথিবীর কোনো দেবতা-দেবীরও এঁটে। জল খায় না নিশীথ । কিন্তু আজি এই রাতে, এখন, সে-পৃথিবী ফুরিয়ে গেছে যেন । নমিতার হাতের থেকে বরফের গেলাসটা তুলে নিয়ে সোফায় ফিরে (5T乔日 ゞbrげ