‘অনেক ক্যাপিটালিস্টই তো অণজকাল এই রকম কথা বলছে, নমিতা বললে । ‘তা বলছে বটে । সে জন্য এ সব কথার মর্যাদা কমে যাচ্ছে । কথা চাচ্ছে না এখন আর মানুষ কোনো শ্রেণীর কোনো নেতার মুখ থেকে । সব কথা শোনা হয়ে গেছে । এখন নমুনা চাই—নিশীথ বললে, ‘যারা সত্যিই পৃথিবীর ভাল হবে মেনে নিয়ে ভেবেচিন্তে কাজ করে আগমণর বেণক তাদের দিকে । কিন্তু পৃথিবী কোনোদিন শুদ্ধ হবে না আমি জানি । যে-কোনে বিপ্লব শেষ পর্যন্ত বিপ্লবে গিয়ে দ ডায় । ভবিষ্ণু ও মানবের ভাল করতে গিয়ে সমসাময়িক মানুষকে শেষ করে দিয়ে যায় । কিন্তু তবুও ভবিষ্কৃৎ মনুষের ভাল হয় না । তিন হfজণর বছর ধরে এই তে। চলছে । আরো তিন-চার হাজার বছর এই রকমই চলবে ।” ‘এই কি আপনার ধারণ ? ‘এর চেয়ে শ্রেয় ধারণায় আগমণকে দাড় করিয়ে দিন না, আপনাকে শিরোপ দেব | ’ ‘এক-এক জন বড় মানুষের মৃত্যু হলে ওরা লেখে, সভা সমিতিতে দাড়িয়েদাড়িয়ে বলে যে শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রতি আস্থা কোনোদিনও হারিয়ে ফেলেন নি তিনি । মানুষ যে অমানুষ সেটা তিনি দিন-রাত্তির দেখেছেন চারিদিকে বটে, কিন্তু স্বীকার করতে চান নি। চারদিকে সব ভেঙে পড়ছে, অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে মানুষের হাতে, সেটা দেখতে পেলেও তিনি জানতেন মানুষের হৃদয় ঠিক জায়গায়ই আছে, মানবতার প্রতি বিশ্বাস শেষ দিন পর্যন্ত অক্ষুন্ন ছিল তার, নমিত বললে, ‘কেন এ রকম বলে, লেখে, যে-কোনো বিশেষ করিৎকর্মী বা চিন্তাশীল লোকের মৃত্যু হলে ? নিশীথকে জিজ্ঞেস করল নমিত । “এ ছাড়া কী আর বলবে ? এ ছাড়া কী আগর লিখবে ?’ বললে নিশীথ, ‘পৃথিবীর উন্নতি হবে, মানুষের ভাল হবে, মানুষ ভাল—এটা ক্যাপিটালিস্ট বা কমুনিস্টদেরই নিজেদের কথা নয়, সকলেরই, পৃথিবীর মানুষ সাধারণেরই, এই ধারণা 1’ ধারণাটা দুর্বণর ?’ নমিতা হেসে বললে, তবেই হয়েছে, তবে একটা কথা শিীথকে বললে, 'মানুষ যদি সত্যিই ভাল না হয় তা হলে সে যে ভাল, তার পৃথিবীর যে ভাল হবে, এ ধারণ এমন গেড়ে বসে কী করে তার মনের ভিতর ? ‘কই আমার তো বসে নি । S s 어
