পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনে ডান চোখের ভুরু নাচিয়ে শিকেয় চড়িয়ে, বা চোখের ভুরুটাকে নীচে স্থির নিরেট অবস্থায় রেখে হরিদাসের দিকে তাকাল রবিশঙ্কর । ভুরু দুটোর আশ্চর্য রকমারি দেখে নিচ্ছিল নিশীথ । ঠিক রবিশঙ্করের মত পারে কি না চেষ্টা করে দেখছিল । কিন্তু সে কি হয়, ও অনেক-অনেক বছর অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে হিসেব-নিকেশ সাহেব-মেমসাহেব চষে চেখে যোগসাধনা করার ফল । ‘বডড মুশকিলেই ফেলেছে । কথন উঠবে ঘুমের থেকে ? ‘অrর কত ঘুমে বেন। এখুনি উঠবেন । হরিদাস আশ্বাস দিয়ে বললে । ওখানে অণর কে অগছে ?’ জিজ্ঞেস করল রবিশঙ্কর । "বেয়ার অাছে এক জন—অfর-কেউ নেই, হরিদাস বললে । ‘সাহেব তে কলকাতায় নেই ।” 'না, তিনি বম্বে গেছেন । হরিদাস বললে । “দিল্লি গেছেন । রবিশঙ্কর বললে । চলুন না, আপনি নিজেই মেমসাহেবের বাড়িতে চলুন—এই তো কাছেই । সেখানে গিয়ে বসলেই তে ভাল হয়, নিশীথের দিকে একটু তাকিয়ে ওজন করে হরিদাস বললে, ‘অfপনfর চিঠি দিয়ে এসেছি বেয়ারার কাছে । 'না, আমি যাব না । আমি তাকে লিখে দিয়েছি গাড়ি দিয়ে ভাইপো হরিদাসকে পাঠালুম, কাছেই আছি । নিশীথের দিকে তাকিয়ে রবিশঙ্কর বললে, 'আসুন আপনি । গাড়ির ভিতর ঢুকে ব্যাক সিটে গিয়ে বসল নিশীথ, রবিশঙ্কর ঠাকরুনকে নিয়ে গ্র্যাণ্ড হোটেলে যাবেন ? নিশীথের দিকে অtড় চোখে তাকিয়ে একটু দেখে নিল হরি দাস । ‘সম্প্রতি সেখানে যাচ্ছি, তারপর’—রবিশঙ্কর বেশি কথা বলে ফেলেছে অনুভব করে কথা বাড়াতে গেল না আর সংক্ষেপে বললে, "দেখা যাবে । আর-একবার দেখে এসে তো তুমি হরিদাস । ফোন করলুম, কে এক ছোকরা ধরলে । বললে ঘুমুচ্ছেন, কখন উঠবেন বলতে পারে না ; ড্যাম—নটা-দশটা আদি ঘুমেীয় কলকাতার এই পচা ভ্যাপসা—কাছেই তো? একটু নোলা সেঁধিয়ে দেখে এসে তো । পা চালিয়ে যাও, মিনিট কুড়ি বসে দেখে এসো, জাগিয়ে নিয়ে এসো। অামি বসে আছি গাড়িতে । ‘নিয়ে আগসব পায় ইটিয়ে ?” ՀՏԳ