পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘অগরে মল যশ ! এসে খবর দিলেই তো গাড়ি যাবে।' হরিদাস চলে গেল । ‘একটা ইডিয়ট । রবিশঙ্কর বললে । ত্রিশ বছর আগে রবিশঙ্করকে ইডিয়ট বলত স্কটিশের ফোর্থ ইয়ারের ছেলের } কিন্তু সে তো সময়প্রস্থানের লক্ষ বছর আগের কথা, এর ভিতর কত পরিবর্তন হয়েছে প্রগণপ্রবাহের, মনের গতির । 'হরিদাসকে যে-মেমসাহেবের কাছে পাঠানো হল, কে সে ?’ ‘কোথায় গেল হরিদাস ?’ জবাব দেবার কোনো দরকার নেই ; হরিদাস খবর নিয়ে এলে নিশীথকে গাড়ির থেকে নামিয়ে বিদায় দিয়ে নিজেই এবার গাড়ি নিয়ে যাবে সে । ফুটপাথে দাড়িয়ে থাকবে না আর, মনে-মনে ঠিক করে নিচ্ছিল রবিশঙ্কর । ট্রাউজারের পকেট থেকে পাইপ-পাউচ বের করে তামাক পাতা পাইপে ভরে নিতে-নিতে বলল,—"করাচি অণর ওয়েস্ট পাঞ্জাবে গেছলুম। সঙ্গে বেন্থাম সাহেব ছিলেন ; মিস মিলফোর্ড সেই অগমেরিকান জার্নালিস্ট মেয়েটির নাম । মিস মিলফোর্ড—মিলি—ওকে পেলে সেই সে কালের হেগলকার-টেগলকণর বর্তে যেত—'পাইপ জ্বলিয়ে নিয়ে রবিশঙ্কর বললে, ‘অগচ্ছ সেন, বাওনা মার্ডার কেসের সেই মেয়েটার নাম মনে আগছে তোমার ? "ן וה' ‘মনে নেই, বাওনাকে খুন করা হয়েছিল ?’ কী হবে ও-সব জিনিস মজুমদার সাহেব ; ও-সব তো ভূতত্বের লক্ষ বছর অণগের কথা ? পাইপ টানতে-টানতে একটু ফিকে হেসে হাসির মুহববতে মনটাকে একটু চাঙ্গ করে নিয়ে রবি মজুমদার বললে, ‘মিলফোর্ডকে পেলে বর্তে যেত হোলকার । আমেরিকানরা বডড হুজুগে মাতে, মিলিকে আমি রাজি করিয়েছিলুম আমাকে বিয়ে করতে— নিশীথের হাতের সিগারেটটা পুড়ে-পুড়ে গাজের মত হয়ে গেছল, জানলার ভিতর দিয়ে ফেলে দিল সে । কিন্তু আমি তো বিয়ে করেছি। আমার ছেলেপুলে অাছে।’ ‘কবে বিয়ে করেছেন ?? ২১৮