পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোজবাজিতে এ জিনিসটার সঙ্গে জড়িয়ে কী রকম হল, অনুভব করে নিচ্ছিল নিশীথ ; এ ষেন স্ক্রিম জারের ক্লাশের শর্টহ্যাণ্ড ঝগড়ার মতই হল ; প্রফেসরের পিছনে দাড়িয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে । "বিয়োতে-বিয়োতে বারটা বেজে গেল ওর । বছর-বিয়োনি বোঁ । বেঁটে । ক্যtড । ঘর যাও, ঘর যাও গে, যাও পাকিস্তানের পটের আঁশ বাছে৷ মিসেস গ্রাণ্ডিদের সঙ্গে এক গাট বসে। ও যাক । ওর জন্য আমি ভাবি না । কিন্তু ছেলে-মেয়েদের জন্য মনটা কেমন করে । কিন্তু’—নিশীথের ঘাড়ের উপর এক হাতের কেঁদো থাবাট চড়িয়ে দিয়ে, দু-এক দমক পাইপ টেনে নিয়ে, রবিশঙ্কর বললে, ‘ওরা সবাই আমারই ছেলে-মেয়ে কি না তাতে সন্দেহ আগছে ।” রবিশঙ্করের কথাটা যেন শোনে নি নিশীথ, অন্য কথা পেড়ে বললে, ‘হরিদাস আপনার ভাইপো ?’

  • ईT ।।'

"নিজের ভাইয়ের ছেলে ?’ ‘আগমণর সহোদর ভাইয়ের । অামার দাদার ছেলে হরিদাস ।" ‘আপনার নিজের দাদার ছেলে, তা হলে আপনাকে হুজুর বলে কেন ? ‘হুজুর বলেছে বুঝি ? ঐ ওর এক রকম, বোধনার ছেলে তো ! রবিশঙ্কর নিজের পাড়া কথাটার দিকে ফিরে গিয়ে বললে, ‘আমার ছেলেপুলের কে কার ছেলে মেয়ে বুঝে উঠতে পারছি না । আমার সঙ্গে কারুরই তো চোখ-নাকের মিল নেই’—কেমন একট। সম ব্যfর চোরাবালিতে ঠেকে কাতর হয়ে বললে রবিশঙ্কর । নিশীথ তাকিয়ে দেখল কেমন যেন ছোট শুকনো মুখে বসে আছে । ‘অামার সঙ্গে আমার ছেলে-মেয়েদের চেহারা-ফেয়ারার কোনো মিল নেই । মতি-গতি বোধ-বিচারেও নেই’—রবিশঙ্কর বললে । সাদৃশ্য যদি না থাকে তা হলে ফুরিয়ে গেল, এর পরের ছেলেপুলেগুলোর যাতে সেটা থাকে সেই ব্যবস্থা করা উচিত রবির, ভাবছিল নিশীথ । ‘চেহারায় মায়ের আদল আছে কিন্তু কম বেশি সকলেরই—কিন্তু বাকিটা অন্য সব সাহেবদের মত ।’ শুনে সমঝোতা হল নিশীথের । রবিশঙ্কর যা বলেছে মিথ্যে হতে পারে, ૨૨O