পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ওরা তো আগয়ারেই থাকে না সব ।’

  • এখন তো এ দেশ ছেড়ে চলে ষাচ্ছে সব ।’
  • অনেকগুলো বাদর এখনো অাছে নিশীথ । কিন্তু'—রবিশঙ্কর দেশলাই বার করে বললে, “আণমি তো অনেকের কথা বলছি না । আমার বড় ছেলের বয়স দশ বছর । এগার-বার বছর আগের থেকেই শুরু হয়েছে, চোখ বুজে, একেবারে মুখে পাথর বেঁধে, ধুনে সাফ করে দেবার খেলা । “বরাবর মাদ্রণজে ছিলেন ?? ‘কিছুদিন বোম্বেতে ছিলুম। বেশ ভাল ছিলুম বোম্বেতে । তারপর দিল্লিতে আসতেই মূলে হাভাত করে দেয় আর-কি। আবার বোম্বে গেলুম। সেখানে আরো বেশি শুরু হল । ম্যারিন ড্রাইভে একটা খাসা ফ্ল্যাটে থাক তুম তিনতলায় । একদিন রাতে’, দেশলাই জ্বালিয়ে নিয়ে রবিশঙ্কর পাইপ ধরাল, *একদিন রাতে অফিস থেকে ফ্রােেট ফিরে দেখি আমাকে দেখে কেমন হকচকিয়ে গেছে ভার্জিনিয়া । কেমন থতমত খেয়ে দাড়িয়ে রইল । আমি সেই বাথরুমের দিকে চলেছি, অমনি ছে৷ মেরে আমাকে ধরে খাবার ঘরের দিকে নিয়ে গেল । খাবfর ঘরে অণমণকে বসিয়ে রেখে বললে, বোম্বেতে থাকে, এ যেন তোমার বিলেত থাকার সামিল ; বাংলাদেশের কোনে। জিনিসই তো পা ও না, এই দেখ, তোমার জন্যে কেমন বেঙ্গলি সুইটস তৈরি করেছি । বলে একটা ডিশ ভর্তি পুডিং-কেক-পাস্ট্রি দিয়ে গেল ; এই হল বেঙ্গলি সুইটস । বললে, খাও, আমি একটু আসছি। খুব ক্ষিদে পেয়েছিল ; কাট। চামচ বাগিয়ে খাচ্ছিলাম, কিন্তু খানিক খেয়ে কেমন সন্দেহ হল আমার, আমি তাড়া তাড়ি বেরিয়ে বাথরুমের দিকে যেতেই দেখি একট। আইরিশ বাথরুমের জানালায় ইসের নলি গলিয়ে স্পাইরাল সিড়ি বেয়ে ভেঁ৷ ভেঁ৷ ” ‘কী করে বুঝলেন আইরিশ ? ‘আমি চিনি সেটাকে । একেবারে বাজ পাখির মত থুবড়ে পড়লাম গিয়ে স্ত্রীর গায়ের উপর, রবিশঙ্কর বললে, পাইপ নিবে গিয়েছিল, জ্বলিয়ে নিতেনিতে বললে, ‘বার্টিতে কাণত কাণত করছে—
  • ੀ ?
  • আর কী ! স্কটল্যাণ্ডের ওট সেদ্ধ করে রেখেছে কে যেন কেভেণ্টারের &ধ দিয়ে, ররিশঙ্কর মরীয়া হয়ে পাইপ টানতে-টানতে বললে—কোথায় পেলে

०-२२२