পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘তিনটে নাগাদ । আজ ছুটির দিন তো । নিশীথ চায়ের পেয়ালাট। দু-তিনটে চুমুক দিয়ে শূন্য পেয়ালাটা তেপয়ের উপর রেখে দিল । “আণমি গত অণট-দশ বছরের ভিতর কয়েকবার বলেছিলাম প্রফেসরকে, নিশীথ বললে, “কলকাতার কোনো কলেজে অপমার একটা চাকরি জেণগড় করে দিতে।' ‘কী বললেন উনি ?’ ‘প্রত্যেকবার বললেন, আণমি দেখছি । জলপাইহণটিতে ফিরে গিয়ে প্রফেসরকে মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি লিখেছি, দরখাস্তর কপি পাঠিয়েছি কিন্তু কিছুই তো হল না ।” ‘কেন ?? নিশীথ হাসতে-হাসতে বললে, ‘আমার মূখই তো চেনা হল না । অথচ আমির একসঙ্গে পড়েছি ।” একসঙ্গে। কোথায় ? মোহিত একটু চমকে নিশীথের দিকে তাকিয়ে বললে । "একসঙ্গে পড়েছি বলেই তো কলকাতায় এলেই ঘোষের এখানে একবার আসি। খুব মিশুক নই বটে আমি । বেছে-বেছে মানুষ দেখে মেলামেশা করি যে তা ঠিক নয় । আমার সহপাঠীদের মধ্যে অনেকেই খুব বড়-বড় কাজ করে, তাদের কারে কাছেই যাই না অামি । ঘোষ কলেজ-ইউনিভার্সিটির কাছেই আগছেন বলে তার কাছে অগমি অগসি । ভারী উৎসাহ ছিল ঘোষ সম্পর্কে এক সময় আমার । খুব কম লোককেই এমন শ্রদ্ধা করেছি’— "একসঙ্গে পড়েছেন অথচ ওর্গকে সেটা মনে করিয়ে না দিলে মনে থাকে না ? তাই ? প্রফেসরের ঘরের অণবদ্ধ দরজাটার দিকে মোহিতা তাকিয়েছিল, মোহিতার দিকে তাকিয়েছিল নিশীথ । বললে নিশীথ, ‘ওর সঙ্গেই স্কটিশে পড়েছিলুম —ফোর্থ ইয়ারে । এক বছর । আগের তিন বছর ঘোষ হয় তো প্রেসিডেন্সিতে পড়েছিলেন । স্কটিশ থেকে বি-এ পাস করে আগবণর প্রেসিডেন্সিতে চলে যান। এক বছর পড়েছিলুম এক সঙ্গে । সেই জন্যেই হয় তো কেমন বাধো ২৫৩