পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না কলকাতা দিল্লির রকমটা । কলকাতায় যদি কাজ করতে চান তা হলে সোজা নাকবরাবর মুখিয়ে চলতে হবে । যা পাওয়া দরকার—টীকাকড়ির কথা বলছি—সেটা পেতেই হবে । দরকার হলেও দশজনের হাত থেকে ছিনিয়ে । নিজেকে রক্ষণ করে পরিবারকে রক্ষণ করতে হবে । অন্য পাঁচজনের কথা তো পড়েই রইল। নিজের স্ত্রী-সন্তানের চেয়ে নিজেকে বাচাতে হবে আগে । এ না হলে কোথায় তলিয়ে যাবেন আপনি নিশীথবাবু। নিশীথ বিস্মিত হয়ে মোহিতার দিকে তাকিয়ে বললে, "এ কি শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ অজুনের জড় মারবার— দরজা খুলে এ ঘরে ঢুকে দাড়ালেন প্রফেসর । মোহিতার দিকে তাকিয়ে বললে, ‘তুমি এখানে বসে আছ মোহিতা, আমি ভাবছিলুম কোথায় গেলে, বডড ব্যস্ত আছি ।” “লিখছ ?” 'না, লেখায় এখনো হাত দিতে পারি নি । এখনো রেফারেন্স ঘাটছ বুঝি ?’ ‘হ্যা, সারাদিনই আজি এই সব চলবে আর-কি ? ‘5i 2" ই্যা, চা । তাই ভাবছিলুম, মোহিত কী করছে ? মোটে তো দু কাপ চী খেয়েছি, আরো দু-চার কাপ দাও, ছুটির দিন, তিনটের আগে দরবার ভাঙবে না ।” ‘কণর আগছেন ভিতরে ?’ ‘আছেন, খুব শণসাল লোক আছেন। কৈকেয়ী আছেন, কিন্তু নন্দীগ্রামের ভরতও আছেন বাবা, শায়েস্তা করতে তাকে । রামচন্দ্রের চটিজোড়াও আগছেন । ” প্রফেসর একবার অগড় চোখে নিশীথের দিকে তাকিয়ে নিয়ে বললেন, ‘কী যে এক রামধুন গান বার করেছে’, স্ত্রীর দিকে একটু বুকে পড়ে কী যেন বলতে গিয়ে থেমে একটু পিছিয়ে গেলেন প্রফেসর ঘোষ । ‘এই যে নিশীথবাবু এসেছিলেন তোমার কাছে, মোহিতা বললে । ‘কে, নিশীথবাবু, নিশীথের দিকে মুখোমুখি না তাকিয়ে ঘোষ সাহেব বললেন । ঐকে চেনে না তুমি, নিশীথ সেন এর নাম, মাঝে-মাঝে আসেন তোমার ২৫৭ ›ማ