পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকা আন্দোজ অ্যালাউন্স আছে কলেজ পেটান দু-চারটে বকলম সেঁটে দিই বলে। ওতে কি অণর চলে কলকাতার মত শহরে’— ‘চালাচ্ছ তো বেশ তুমি, বাড়ি তো করেছ ভবানীপুরে। ‘এটা ভগড়াটে বাড়ি, আমার নিজের বাড়ি টালিগঞ্জে ।” ‘বাড়ি তো করেছ।” ‘তা এতদিন কলকাতায় আছি, বাড়ি এমনিই হয়ে যায়, চারশ পঁচাত্তর টাকা করে কাঠ কিনেছিলুম টালিগণ্ডে উনিশশ বত্রিশে, সে কাঠা এখন চার হাজার সাতশ বিরানব্বই টাকায় বিকোচ্ছে । বার হাজার টাকা লেগেছিল আগমণর বাড়ি করতে ।’

  • কেন, নিজের বাড়ি ছেড়ে এ বাড়িতে আগছ ?” *আছি, কলকাতায় থাকতে হচ্ছে বলে |’
  • তার মানে ?”
  • বদমায়েসি না করে কলকাতায় টিকে থাকা যায় না ’—

এ বাড়িতে বদমায়েসি করার সুবিধে কুলদাপ্রসাদ ? ‘লোচ্চগমি ? না, আণমি সে কথা বলছি না, সে আলাদা ; সে হবে এখন পরে ; এই ষে ললিতা”— ‘কী বলছ কুলদা ? একজন ফর্শা, লম্বা, ভারী নিখুঁত শারীরিনী ঘরে ঢুকে কুলদাকে ঘেঁষে দাড়াল ; দাড়িয়েই কুলদার মাথার চুলের ভিতর হাত চলে গেল ললিতার ; পাকা চুল বাছবার চেষ্টা হয় তো नि কি বিলি কণটা হচ্ছে ? নিশীথের দিকে তাকিয়ে দেখছিল ললিতা, মেয়েট স প্রতিভ তো নিশ্চয়ই—বেশ সহজও বটে । কুলদাও কম স্বাভাবিক নয়, ‘আমাদের স্থা জনকে দুটো পান এনে দাও তো ললিত ।” ‘ইনি কে ? নিশীথের দিকে তাকিয়ে ললিতা বললে ‘আমি ও ভাইস, ইনিও ভাইস ।” ‘ভাইস ? কোন কলেজের ?

  • মফস্বলের ।'

‘মফস্বলের ? কোথায়, কেষ্টনগরের ? ‘আহা, না ললিতা, সবাই কি কেস্টনগরের জিনিস হবে, তুমি নিজে কেষ্টনগরের -있어 O