পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাতকে দিন করে দিয়েছে ; জলের ওপর দিয়ে নৌকো চালিয়ে নিয়ে গেছে ; বালিগঞ্জে পঁচিশ-ত্রিশ কাঠা জমি কিনেছে, ডি-কে ব্যানজি কণ্টাক্টরকে লাগিয়ে চমৎকার জ্যামিতিক প্রাসাদ তুলেছে, চোখ জুড়িয়ে যায় দেখলে ; পুরনো কলেজটাকে চার ভায়ে মিলে হাতড়ে নিয়ে সেটাকে নবরক্ত দান করেছে—এখনই সেই দোস্ত মহম্মদ লেনের কথা পাড়া ? ‘তা ছিলুম আমরা’, ক্ষোভ, বিক্ষোভ, খানিকটা ভৎসিনার বশে আগুনে গনগন করছিল জয়নাথের মনটা । ছাইচাপা আগুনের মত আ স্পষ্ট চোখ নিয়ে নিশীথের দিকে একবার তাকিয়ে দেখল জয়নাথ । ‘অজয়নাথ কী করছে এখন ?’ ‘আপনার চেয়ে ছোট বুঝি অজয় ? ‘আমার সমান ; বিজয় অণর সুজয় আমার ছোট । “অজয় ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এসেছে বিলেত থেকে । বিয়ে করে শ্বশুরের টাকায় বিলেত গিয়েছিল । ইঞ্জিনিয়ারিং ফর্ম খুলে বসেছে।’ ‘বিজয়নাথও তো ইঞ্জিনিয়ার ? ‘না, সে ডাক্তার, এখানকার এম-বি, বিলেত যায় নি। পসার জমিয়ে বসিয়েছে। বিলেত যাবার দরকার করে না । কোনো-কোনো মাসে অাট হাজারও তো পায় । বোকামি করেছে । যুদ্ধে গিয়ে নার্স বিয়ে করে এসেছে। গ্রীক-ইহুদি ! দেখতে বেশ সুন্দর, বেশ ছিমছাম, বেশ ঘরজোড়া ; হেলেসপণ্ট সমুদ্রের মত । কিন্তু ও-সব ফিরিঙ্গি কি আমাদের ঘরে মানগবে । আমরা চার ভাইয়ে মাগ নিয়ে এক সংসারে থাকতে চাই তে এক হাড়িতে।” ‘ফিরিঙ্গি কি করে হল ? গ্ৰীক তো । গ্রীস তো আমাদের ইংরেজির প্রফেসরদের গয়াতীর্থ জয়নাথবাবু।” ‘গ্ৰীক-ইহুদি। জয়নাথবাবু একটু বিরক্ত হয়ে বললে । গয়ানাথবাবুর ছেলে তিনি । নিশীথের গয়ণতীর্থের কথাটা কণনে বেজেছে তার । ‘ইহুদি তো ফিরিঙ্গি নয়, জয়নাথকে বলতে গিয়ে নিজেকেই যেন বললে নিশীথ । সুজয় ব্যারিস্টারি পাশ করে এসেছে বছর দশেক হল । ‘হাতযশ জমিয়েছে হাইকোর্টে ?” ‘না। স্থ্য, যায় হাইকোর্টে । তবে হচ্ছে না কিছু হাইকোর্টে, পেটিকেটে \SO