পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিথো কথা নয় । কিন্তু জয়নাথরা ব্রাহ্ম সমাজে আছে কি নেই ঠিক বলতে পারে না জয়নাথ । ৰিশ-চল্লিশ বছর আগে বাবার সেই আদর্শ, যেমন পচণ ডিমের পিচকিরিতে পেদে ভিজিয়ে দাড়িয়ে থাকা, নিশীথের ঠাকুর্দার বাড়িতে খেয়ে-পরে ধম্মের লড়াই করা, এ সব জিনিসের বিষ মরে গেছে আজকাল ; বাবা যদি আগজ বেঁচেও থাকতেন তা হলে নিশীথকে জয়নাথের কলেজের কাজে ঢুকিয়ে দিতে বলবার মত মুখ থাকত কি আর তার ? কিন্তু তিনি তো বেঁচে নেই, সমাজে জীবনে কলেজে কোথাও কোনো প্রতিপত্তি আছে কি তার ? দেখছে না তো কোনো দিকে র্তার কোনো প্রভাব । দিন-রাত চুরুট-সিগারেট টানছে জয়নাথ, নিয়মিতভাবে মদ খাচ্ছে জয়নাথ, কলেজের টাকা তিন ভাইয়ে মিলে পাচার করছে, তবুও জর্গকিয়ে রয়েছে কলেজটা । খুব বাহব পাচ্ছে তাই তারা । পুব বাংলার কলেজগুলো ফতুর হয়ে পশ্চিমবাংলার কলেজগুলোকে ছেলেতে-ছেলেতে ফঁাপিয়ে তুলল, খুব ঢাকে কাঠি নাচছে জয়নাথদের ; জয়নাথের মেজ শালির বড় মেয়ে, মোড়লের সঙ্গে বিয়ে হল যার, সে মেয়েটির বাবা তো জয়নাথ, মেসোও বটে, কিন্তু মেসোর চেয়ে বাবা বেশি বলেই নিজের কাজ, ঘরের কাজ, গুষ্টির কাজ, কলেজের একশ রকম দাও মারবার কাজ ফেলে, সেই ভোরে বাসি মুখে নিজের মোটর হাকিয়ে বসিরহাট গিয়েছিল তো সে । বিয়েটা ভাঙবার চেষ্টায়ই গিয়েছিল, পারল না, মেজো শালি সুনয়নী কিছুতেই দিল না । নানা কথা ভেবে দেখছিল জয়নাথ ! জয়নপথের নিজের পরিবারের, সমাজের, কলেজের এ সব কোনো রকম ব্যাপারে বাবার কোনো গাউখুরি টের পাচ্ছে না আর জয়নাথ । নেই। নেই-ই তো । কিছুই নেই অণর । 'গত বছরে আপনার কলেজে মাস্টারি কাজটা পেয়ে যাব ভেবেছিলুম। ‘পেলেন কোথায় অণর’, একটু চিন্তিতভাবে জয়নাথ বললে । নিশীথের বিষয় নয়, অন্য কথা ভাবছে জয়নাথবাবু । সুনয়নী কেমন বুড়ো হয়ে গেছে ; তবুও মন্দ নয় । কিন্তু বালিগঞ্জ প্লেসে কিছুতেই আসতে চায় না । কিছুতেই এল না । এক রাতের জন্যেও না। রমলা কণর মেয়ে সেটা একেবারেই ভুলে গেছে সু । ‘সে কাজটা মতিমোহনবাবুর ছেলেকে দিতে হল ।’ 'মতিমোহনবাবু কে ?” ‘আমার মাথা আর মুণ্ডু । শোরহাওয়ার্দি মিনিস্ট্রির সময় একটা বড় চাই Nఏd