পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জায়গাতেই তো । গে*ড়টাকে উৎখাত না করতে পারলে এখানে ওয়াজেদ আলি সাহেব কী করবেন ? “কলকাতার কলেজে ঢুকেছেন নিশীথবাবু ?

  • কী জানি বলতে পারি না ।" “চিঠিপত্র পচ্ছ না ?

‘না ।" সুলেখা মাঠের ঘাস, ক্যানাফুল, বোলতা, রৌদ্র সমস্ত চক্রবলয়ট পেরিয়ে অনেক দূর তাকিয়ে রইল। কলেজের ক্লাসে তিন বছর পড়েছে সে নিশীথবাবুর কাছে । নানা রকম কথা-কথিকা মনে পড়ে লেকচার রুমের, রুমের বাইরের -নিশীথ সেনের । এই সে দিন তো, কিন্তু এক হাজার বছর আগে যেন—অণজ দুপুরে কত শত নিঃশব্দতার ভেতরে এসে পড়ে মনে হচ্ছে । ‘কে কত মাইনে পায়, কণর কত বেড়েছে না-বেড়েছে এত বৃত্তান্ত জানলে কী করে তুমি ? ‘জেনে ফেলেছি তো’, সুলেখা জিভ দিয়ে একটু টাগরা টিপে হেসে বললে, জানেওয়ালা মানুষের মত রহস্থ্যের কোঁটো নিজের আঁচলের আঁধারে লুকিয়ে রেখেছে যেন । ‘কে বলে যায়, ওয়াজেদ আলি ?’ সুলেখার দৃষ্টি অবাক দূরের থেকে গুটিয়ে কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল ডালপালার বাতাসের ভেতর ঘুরছিল, ‘ওয়াজেদ আলি, ইয়ুসুফ, সেরাজুল হক, নুরুল হুদা, -সুজন খা, বসিরুদ্দিন, মুনার গাজি, মমতাজ আলি, মহম্মদ ইসমাইল, গোলাম হোসেন, আবদুস সত্তর, আবদুল করিম—অনেকেই তো এখানে আসেন । এদের কাছ থেকে নানা রকম খবর পাওয়া যায় ।” কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে তাকাল হারাত চোখ তুলে—কেমন থলে-থলে সারাংসার রক্তের অবদানের মত ফুলের রাশি সব—বাতাসের অবিরাম শুশ্রুষার Cでラでラ委「 I ‘তোমার তো এবার ফোর্থ ইয়ার সুলেখা ? কলেজ ছেড়ে দিলে যে ? ‘নগঃ, আগর যাব না কলেজে, কেমন ভাঙন ধরেছে যেন ।” ‘কোথায় ? কলেজের প্রফেসরদের ভেতর ? নাকি তোমার মনে ? “প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে দেব । এবার যদি না হয়, পরের বার দেব ।” "ROSky