পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"এক তো বাবা চলে গিয়েছেন, এ ছাড়া প্রায় সব প্রফেসরই তো আছেন কলেজে ।” ‘জানি না । যাই না কলেজে', বিরস ভাবে বললে সুলেখা, নিশীথবাবুর এটা বড় অন্যায় হল ।” ‘কেন ?" “পাকিস্তান হতে না-হতেই তিনি ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নে চলে গেলেন । ‘একটা চিঠি লিখে দণও বাবাকে । ‘কে, আমি ? ‘লিখে দাও আপনি না এলে আমি ক্লাসে যেতে পারছি না, চলে আসুন । পৃথিবীর চারদিকের সমস্ত রোদ শুষে এনেছে যেন কৃষ্ণচূড়া গাছটা, ঝিলমিল করছে ফুলগুলো কড়া দুপুরের রোদের ভেতর । রোদের ঝিলিক এসে পড়েছে ঘরের আনাচে-কানাচে মানুষের বুকে কানে, মেয়েলোকের হাতে চুলে। বাইরে বা বা রোদ মাঠে, বাড়িতে, জলের শব্দে, ভীমরুলের চণকে, তেপান্তরের ধোয়ার মত অণকণশটার মাথায়-মাথায় উড়ন্ত বক, ফিঙে, হরিয়াল, ওয়াক পাখিদের ডানা-ঠ্যাঙের অফুরন্ত আঁকিবুকির ভেতর । সুলেখা টেবিলের থেকে তার সানগ্লাসটা পেড়ে এনে বললে, ‘চোখে পরবে হfরীত ?” ‘তুমি পরো । যে জায়গায় বসেছ সুলেখা সেখানে সূর্যের তাত বেশি। ধোয়া রঙের চশমাটা চোখে এ’টে নিয়ে সুলেখা বললে, 'মা-ও গিয়েছেন অবনী খাস্তগিরের বাড়ি । দিদি যাব-যাব করছিল । আগমণকে এক ফেলে যেতে পারে না তো, বাবুরাম বাড়ি নেই। তোমাকে আসতে দেখে কেমন বান মাছের মত সটকে পড়ল, দেখলে তো !’ ‘তোমারও যাবার ইচ্ছে ছিল, আটকে রাখছি।” ‘ক্ষ্যশপা নাকি ! আমি যাব অবনী খাস্তগিরের বাড়ি ! ওদের দানেণয় পেয়েছে । দুড়দাড় করে ছুটে যায় আর আসে। অসে অণর যায়, মনকে বলে, সাবাস । অবনীবাবু স্ত্রীকে এনেছেন শুনলাম।” ‘ক-দিন হল এসেছেন ? ‘দিন ছ-সাত ৷ পাচ-ছয় দিন থাকবেন অণরো হয় তো । ‘দুপুরে কি ফ্ল্যাশ খেলা হয় অবনীদার বাড়িতে ? ‘হতে পারে । কী করে না হলে সময় কাটাবে।' Eఏవ