পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে হগরীত । ‘অবনী খাস্তগিরকে তো নয়। কী হবে তাদের সঙ্গে কনট্রাক্ট ব্রিজ খেললে ? মিলেমিশে বক্তৃতা দিলে ? কী হবে অবনীবাবু জুলেখাকে সত্যিই ভালবাসলে ? জীবনের চল্লিশ-বেয়াল্লিশ বছর যে দেখেছে তেমনি একটি বয়স্ক মহিলার অভিজ্ঞতার অঁাটর্সাটের ভেতর থেকে বললে যেন সুলেখা, খুব স্থির মনোভাবে অল্পস্বল্প হেসে । ‘অবনীবাবু জুলেখাকে ভালবাসে কে বলেছে তোমাকে ? ইয়ুসুফ বলেছে । ক্যানাফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে হারাতের মনে হচ্ছিল, হলদে ফিকে গোলাপি ফুটফুটে ক্যানার ঝগড় চার দিকে থাকলে কেমন হত ? নিস্তার পেত না কি তাতে চোখ ? সঙ্গতি অনুভব করত না কি সুলেখা, জুলেখা, তাদের মা আর তারতের অনুভূতি ? কেবল এক বগগ। জিনিসই থাকবে ? ‘অfর ওয়াজেদ আগলি সাহেব কী বলেছে ?” ‘কী বলবেন তিনি ? তাড়াহুড়ে নেই অলি সাহেবের । চার-পাচদিনেই কলকাতার গাডিতে চড়বার কথা নয় । এখানকার মানুষ তিনি । ‘আসিছেন যাচেছন ?? সুলেখা একটু গালে টোল ফেলে হেসে বললে, ‘কে, উড়ে গেল নাকি দময়ন্তীর ই সি, তার কথা বলছিলে না ? ‘বলেছিলাম দময়ন্তীর মতনই জুলেখা ইসটাকে পিঠ চাপড়াচ্ছে । কাজ তার অন্য মানুষকে নিয়ে । কিন্তু সুলেখার কোনো ইসিটাস নেই, কাজ তার মানুষটাকে নিয়ে । ‘কী মানে হতে পারে তার ? ‘কী মানে হতে পারে ? “এ সব হচ্ছে রাতের—বেশি শীতের রণতের হেঁয়ালি-জেয়ালির মত ; এখন কোনো মানে বেরুবে না ।” ‘শীত এসে নিক পৃথিবীতে, তার পর মানে বোঝা যাবে ? ‘বেশি শীত বেশি রণত হয়ে গেলে এ সব কথা ভাবা যাবে এক দিন হরীত । ‘এখন তো গরমের কাল, চোত-বোশেখ । একেবারে অব্রান-পৌষ না এলে কথাটার তল পাওয়া যাবে না বুঝি সুলেখা ? אאס\