পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আরো দেরি হতে পারে ।” “আণরে! দেরি ? কত দেরি ?? ‘ঢের দেরি । এক একটা জিনিস বুঝে ওঠা বড় কঠিন । সানগ্লাসটা সুলেখাকে ফিরিয়ে দিয়ে হরীত বললে, ‘আসছে শীতে বোঝা যাবে ?’ সুলেখা কেমন যেন উৎসাহ হারিয়ে ফেলে আস্তে-অস্তে বললে, ‘আসছে শীত কি অণজই এল দেশে ? ‘কিংবা তার পরের শীতে ?’ ‘সে তো আরো পরের কথা । অণজ তা দিয়ে কী হবে, সানগ্লাস চোখে এঁটে বললে সুলেখা, তুমি তো চান করে এসেছ দেখছি । খেয়ে এসেছ ? 'না, আমি তিনটে-সগড়ে তিনটের সময় বাড়ি গিয়ে খাব ।’ ‘তার মানে ? তার মানে, রাতে অণর খাবে না হরীত । এক বেলা ভাত খাচ্ছে । রণতে দুধ খায়, দু-একটা দেশী ফলপাকড় যোগাড় করে আনে । কোনো রোজগার করছে না হরীত। নিশীথ তো দেড়শ টাকা দিয়ে গেছেন সুমনাকে । তাই দিয়ে মাস তিনেক অন্তত চালাতে হবে তো । কোনো একটা উপায়ের পথও দেখতে হবে জলপাইহাটতে । বছর খানেক থাকবে তো সে এখানে । দিনে এক বার খেয়ে শরীর ভালও অাছে তার, টণকণও কম খরচ হচ্ছে । ‘কলকাতার নিয়মটা ভাঙি নি । কলকাতার অগস্তানায় ফিরে খেতে-খেতে সগড়ে তিনটে-চারটে বেজে যেত। কেমন হয়েছে, তার আগে ক্ষিদে ও পায় ন! । নিয়মটা বদলাতে সময় লাগবে ।” ‘ক্ষিদে পায় না তিনটের আগে ? কেমন একটু আস্বাদ বোধ করে বললে সুলেখা । ‘না ।” ‘তা হলে রণত কটার সময় ভাত খাও ?? ‘এগারটা-বারটা ।” ‘অত দেরি ? তা হলে খুব দেরিতে রান্না চড়ে তো ! ‘হঁ্য । বাতিও অনেক ক্ষণ জ্বালিয়ে রাখতে হয় ।” শুনে সুবিধে বোধ করছিল না সুলেখা । সকাল বেলা তাদের সাড়ে দশটাএগারটায় খাওয়া শেষ হয়ে যায়, রাতে সাড়ে অণটট-নটায় । এর ব্যতিক্রম USDO