পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগমণদের চেয়ে তো ওদের দরকার বেশি, ওরা মিটিঙ করছে । তোমাকে বলব আমি সময় হলে । কেন সাড়ে তিনটের সময় ভাত খাওয়া ; ব্যবস্থাটা বদলে ফেল হরীত । ‘অগস্তে-অণস্তে বদলগচ্ছি ।” ‘ভেবেছিলুম রাত অদি এখানে থাকবে । ‘কটায় ফিরবে ওরা ?” ‘মিটিঙ হবে, মিটিঙ আরো টেনেটেনে হবে, ভেঙে গেলে ওখানে বসেই আরেকটা বৈঠক হবে ; অবনীবাবুর বাড়িতে ফিরে আসা হবে, কথা হবে, খাওয়া-দাওয়া হবে, অর্ণবণর কথা হবে, তার পর বাড়িতে ফিরে আসার কথা । রণত বারটার এ দিকে হবে বলে মনে হয় ন! I' হারীত মাথা হেঁট করে একটু চিন্তা করে বললে, ‘তা হলে আমি অবনীবাবুর বাড়িতে তোমাকে দিয়ে অসি, চলো !’

  • না । ওখানে আণমি যাচ্ছি না তো ।

‘কোথায় যাবে তা হলে ?’

  • এখানেই থাকব ।”

"একা থাকবে ?’ ‘ভাত খেয়ে ফিরে আসবে তুমি এখানে ? কে, আমি ? হার্যত একটু চিন্তিতভাবে হেসে বললে, ‘আজ আর ফিরতে পারব না । আমার একটু কাজ আছে বাইরে । ‘কী কাজ ? ‘কিছু-কিছু ছোট কাজ করতে এসেছি জলপাইহাটতে আমি । আজ বাড়িতেও ফিরতে পারব না ।" ‘কী কাজ হরীত ? ‘আমি একটু সাহাদের আড়তে যাব চালের জোগাড় করতে । শুনলাম চামারপটির ও-দিকে ছোটলোক ভদ্রলোক অনেকেই না খেয়ে আছে । দেখি কতদূর কী করা যায়’— ‘কেন, সাহাদের ওখানে যাবে কেন, ডিস্ট্রিক্ট অফিসারকে বলবে না কেন ? ‘বলেছি । গভর্নমেণ্টের তো সব ফাইল, পোর্টফোলিও ব্যাপার । সময় লাগে । বিরাজ সাহার কাছ থেকে বোধ হয় চট করে জিনিস পাওয়া যাবে ।” ৩৩২