পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখা দিল হারীতের । ‘আমি ঠিক করে ফেলেছি নরেনের সঙ্গে ’ সুমন বললে । ‘কী ঠিক করেছ ?

  • আমণকে রক্ত দেবে ।’

‘রক্ত চাইলে বুঝি তার কাছ থেকে ? 'না, সে নিজেই এসেছিল, আমি তো ডাকি নি তাকে । মনটা অামার কেমনকেমন করছিল যেন, নরেন এল না, নরেন এল না, হারীত এসে বড় অন্যায় করল নরেনের ওপর। ভেবেছিলুম, মনটা ভাবছিল ছেলেটাকে । এল তো ! ‘টেলিপ্যাথি বলে একে, মনের পীড়িত ভাবটকে চাপা দিয়ে একটু হেসে নেবার চেষ্টা করে হারীত বললে, “কিস্তু— ‘তা হলে কথাটা রইল ?’ ‘কোন কথাটা ?” 'নরেনের সঙ্গে আমি ঠিক করে ফেলেছি।’ কেমন একটা লোলুপত যেন সুমনার চোখে । নাকি অনির্মল দৃষ্টি তুলে মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখছে হরীত। সমীচীনতা নেই সুমনার কোনোদিন, মনের দিক দিয়ে বিকাশের বৃত্তান্ত বিশেষ কিছু নেই । হৃদয়ে বিশৃঙ্খলার তাড়না রয়েছে সব, নিশীথের জীবনটাকে কেবল পিছনের দিকে টেনে হয়রান করে ফেলে। কিন্তু এ ছাড়া আর-কিছু বাড়াবাড়ি নেই । না, ওটা নেই, ওটা কিছু নয় | ‘তুমি এক কী করে ঠিক কর কাউকে জিজ্ঞেস না করে ?

  • ডাক্তারকে বলে এসেছে নরেন ।”

‘রক্ত দেবে অণবণর ?’ ‘কাল থেকে দেবে ।”

  • ওরই রক্ত চাই তোমার ? ‘তাতে ভাল হবে । তাড়াতাড়ি সেরে উঠব । কেমন তাগড়া ছেলে তো নরেন। নতুন যেটিকে জুটিয়েছ তুমি সে তো ভিজে বেড়ালের মত, হরীত। যাকে যার ভাল লাগে তার জিনিসেই তার তিলে তাল মিলে যায়, শাকের

কণীয় পঞ্চ শস্য ।” ‘কী বলেছেন ডাক্তণর ?’ \වHථ