পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘তার সায় আছে ।" "জিজ্ঞেস করে দেখব এক বণর ডাক্তারকে ।” ‘কাল তো রক্ত লাগবে ।’ “আণজ যাব ডাক্তারের কাছে ।” "নরেনকে অণমি কথা দিয়েছি ।” “আণজ যগব ডাক্তারের কাছে ৷' “যেখানেই যাও খোদার ওপর খোদকারি করতে পারবে না । ব্যবস্থা উনি করে দিয়ে গেছেন । ব্যবস্থা আমি করছি । তুমি কে হে ? কোথাকার একটা নিচু ঝোপের থেকে উড়ে এসে বেশি বাতাসে-বাতাসে বড় শিমূল গাছটার লম্বা পাতা অৰ্শকড়ে ধরবার জন্যে দুটো বুলবুলি কী রকম উড়ছে-ঘুরছে, তাকিয়ে দেখছিল হরীত 'নরেনের সঙ্গে যে-সব হিন্দু-মুসলমান ভাইরা এসেছিল তারা কি আমাদের ঘরে ঢুকেছিল ? ‘চুকেছিল । ‘আমি ছিলাম না, তবুও ঢুকল ?’ ‘অণমি তো ছিলাম.।” ‘কোথায় বসল তারা ?’ ‘আমার খাটে এসে বসেছিল চার-পাচজন, বাকিরা তোমার বাবার তিনচারটে চেয়ারে বসেছিল। এত লোক সব ? গনি বসেছিল কোথায় ? আব্দুল গনি ? ‘গনি খাটে এসে বসেছিল, আমার পাশেই তো ; বডড প্যাজের গন্ধ পাচ্ছিলাম ।’ ‘জলপাইহাট কলেজের বেয়ারা তে| গনি । ‘তা জানি আমি । তোমার বাবা থাকতে গনি আমাদের ঘরে ঢুকত না । কিন্তু এখন ঘরে ঢুকে আমার খাটে এসে বসল তো ' ‘কেমন হল সেটা ? তুমি খাটে বসে আছ, অথচ—অবিশ্ব্যি সব মানুষই এক, হারীত বললে, বসবে বইকি, কিন্তু পুরুষরা চিরকাল পুরুষদের সঙ্গে বসলেই ভাল । বিড়ি-টিড়ি, চাইল গনি ? ‘আগমণর কাছে ? না, তা চায় নি তো ' 88ס\