পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘বসো অর্চনা, সুমন বললে । ‘জুলেখাদের বাড়ি গিয়েছিল হারাত ?

  • ই্যা, সমস্তটা দুপুর সেইখানে । “আজি প্রথম গেল বুঝি ?’ জেনেশুনেও জিজ্ঞেস করল অর্চনা । 'না, ক দিন ধরেই তো যাচ্ছে। যাওয়াও যাওয়া, সমস্তটা দুপুর সেখানে মেরে দিয়ে চারটে সাড়ে-চারটের সময় ভাত খেতে আসা হয় । হারীত অৰ্চনার দিকে তাকিয়ে বললে, “তোমাকে আমার সঙ্গে যেতে বলেছিলাম, কিন্তু তুমি তো যেতে চাইলে না।’ ‘তোমার সঙ্গে গেলে এক রকম ছিল ভাল, কিন্তু হরীত এক গিয়ে শত্রু বাড়াচ্ছে, সুমনা বললে ।

‘কে শক্র হল সুমনাদি ? "নরেনরা শত্রুতা করছে । সুজন খাঁ, চাদ মিঞা, গনি, ইসমাইল, আশু দত্ত, গণেশ সব নরেনের দলে । আমাদের বাড়ি এসেছিল ওরা আজ দুপুরবেলা, তখন তুমি কোথায় ছিলে অর্চনা ! ‘দুপুরবেলা আমি বাড়ি ছিলুম না। একটু হাসপাতালে গিয়েছিলুম। মেয়েদের হাসপাতাল কমিটির একটা মিটিং ছিল আজ। এই তো এলুম।" *হাসপাতালে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা হল তোমার ? *মজুমদারের সঙ্গে? হ্যা হয়েছে।’ ‘নরেন কিছু বলেছে তাকে ?’ “তা তো আমি জিজ্ঞেস করি নি । কিছু বলবণর কথা ছিল ?’ ‘নরেন আমাকে রক্ত দেবে কাল থেকে আবার । ঠিক হয়ে গেছে । ছেলেটাকে যাই বল তাই বল, খুব মনে ধরেছে ওকে আমার । বৌদি সম্বন্ধ পাতাল তো আমার সঙ্গে । নগঃ, ওর রক্ত ছাড়া আমার ভাল লাগবে না, ভাল হবে না । হরীতকে রাজি করিয়েছি । অৰ্চনা হারাতের মুখের দিকে তাকাল, রাজি হয়েছ নাকি ? ‘কী করব—না হলে রুগি টেকে না ।” ‘মজুমদারও রাজি ? “আণজ জিজ্ঞেস করে আসব । বেরুতে হবে রাতে নানা কাজে ।” *এটা কেমন হল হরীত । আবার নরেন রক্ত দিচ্ছে ? ←aᏮby