পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘নানা কাজ নিয়ে ফেরেন । সংসারের ভার তো তার ওপর । নানা রকম মেয়েদের কমিটির মেম্বার তো তিনি। হাসপাতাল কমিটিতে আছেন সুলেখার মা ?’ ין חה" ‘ওঁর কথা জিজ্ঞেস করলে কেন তুমি ? ‘এমনিই ।” হারীত তাকিয়ে দেখল সুমনা ঘুমিয়ে আছে, ও-পাশ ফিরে আছে, ঘুমের নিশ্বাসে শরীর আস্তে-আস্তে উঠছে পড়ছে । ঘুমনো জিনিসটির দিকে তাকিয়ে হরীত বললে, ‘আমি যেমন চেয়েছিলুম, আমার নিজের মাকে তেমন করে পেলাম না কোনো দিন । মীর ভেতরে প্রকৃতির সরসত, সবলতা বা মানুষের হৃদ্যতা, নিপুণতা নেই। আজকের এ যুগে খাড়া বড়ি থোড়ের ওপর খাড়ার ঘা পড়ছে সব সময়ই যেন মার মাথার ভেতরে, কিন্তু থোড় বড়ি খাড হয়ে ছিটকে পড়ছে তবুও সব। তোমার ছেলে ঠিক ষোল আনা মায়ের মত করে পেয়েছে তোমায় ।” ‘কেন এ কথা বলছ ? হারীতের চোখে চোখ রেখে বললে অর্চনা । অৰ্চনা সুমনার পাশে বসেছিল খাটের ওপর পা ছড়িয়ে—হারাত একটা কাঠের চেয়ারে বসেছিল । পা দুটো আগস্তে-আগস্তে টেনে নিয়ে উড়ন্ত সারসের পায়ের মত পিছনের দিকে গুটিয়ে নিয়ে বসল অর্চনা । ‘এমনিই বললাম, হরীত বললে । পরে একটা নিশ্বাস ফেলল । ‘তোমার বাবার চিঠি পাও নি ?” ‘এখনও অাসে নি তো ।” ‘তোমার মাকে লেখেন নি ? ‘না । তোমাকেই তো লেখবার কথা ।” "দাশগুপ্ত সাহেবের বাড়িতেই আছেন তো ?’ ‘থাকবার তো কথা । তোমাকে তো বালিগঞ্জের ঠিকানাই দিয়ে গেছেন । কেন চিঠি লেখ না তাকে তুমি ।’ অৰ্চনা একটু ঠোট কঁাপিয়ে উঠতি হাসিটাকে নিভিয়ে দিয়ে বললে, “তোমার বাবা যদি কলকাতায় চাকরি পান, তা হলে তোমরা এখানকার পাট উঠিয়ে চলে যাবে না কি হারীত ঐ ७¢२