পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থির হয়ে আরো স্থিরতর হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল । ‘তুমি আমার চেয়ে ক বছরের ছোট ? ‘তিন-চার বছরের l' ‘আমি ভেবেছিলুম বেশি । ‘তিন-চার বছরের ছোট-বড়র কোনো মানে হয় না । হয় অর্চনা ?’ অর্চনা কোনো কথা বললে না । ‘তোমাকে আণমি অর্চনা মাসি ডাকব না ।” ‘ডাকবে না তো, অর্চনা বললে, “কিন্তু এ সব কী রকম কথা হচ্ছে হরীত । কথা বলতে-বলতে কোন শাখায় কোন পাতায় এসে পড়েছি, পাতারও অণবণর শিরা থাকে ; থাক, দেখে কাজ নেই ; আমি এখন উঠি । ‘বসেণ-বসো', হরীত বললে । 'না, না, উঠি অামি ।’ ‘বসেণ ।” 'না, উঠতে হয় এখন', অৰ্চনা উঠতে-উঠতেও বসে রইল তবু, ‘সুলেখাদের বাড়ি অাছে পার্কসার্কগসে—কেমন বাড়ি ?’ ‘বেশ বড় দোতালা বাড়ি—সুন্দর।” দেখেছ বুঝি ? বাড়ির ফোটোগ্রাফ আমাকে দেখিয়েছে জুলেখা । আর্চনার মাথাটা খালি ছিল, ঘোমটা খোপার ওপর ঠেকেছিল অনেক ক্ষণ, সেটাকে খোপার থেকে থসিয়ে নিয়ে গলার অণচলের মত অর্চনা জড়িয়ে নিল । ‘পার্কসার্কাসের বাড়িটা ওদের নিজেদের ?’

  • ই্য । ওদের বাবা করে গেছেন ।’

‘কী ছিলেন তিনি ?’ ‘ইঞ্জিনিয়ার।' অর্চনা বললে, ‘কলকাতায় এমন চমৎকার বাড়ি থাকতে সুলেখারণ এখানে আছে যে !" ‘কলকাতায় পার্কসার্কাসে গোলমাল দগঙ্গা-হাঙ্গণমা চলছে তো অনেক দিন । এখন সব ঠাণ্ড হয়েছে বটে। এটা নিজেদের দেশ তো সুলেখাদের ' “কিন্তু এখন তো পাকিস্তান হয়ে গেল এ দেশ ।’ S)($8