পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘অগমি জগনি ।” ‘যেন তোমাকে ট্রাঙ্ক কল করে জানিয়ে দিয়েছেন হগরীত, রাতের বাতাসের ভেতর অর্চনার নিশ্বাস মিশে গেল । অন্ধকারের ভেতর এই সব মানুষের নিশ্বাস মেদুর করে রাখছে রাতের বাতাসকে ; অনুভব করছিল হারাত ; কিন্তু থাকছে না কিছু ; দূর অন্ধকার অনন্তের দিকে চলে যাচ্ছে মানুষের নিশ্বাস, মানুষের বসে থাকা, রাতের বাতাস । ‘ফিরে আসবেন এ দেশে । ‘কে ? "নারকেল গাছে বাজকুডুল পাখি ডাকছে । শুনছ অৰ্চনা ? "শুনেছি । কটা পাখি :) ‘দুটো । ‘অনেক দিন থেকেই ওদের ডাক শুনছি।’ ‘একশ বছর বঁাচে । এক সঙ্গে থাকে ।” ‘একশটা শীত ঋতু ? খুব গভীর তে। হরীত । ‘খুব গভীর । ‘ঘাবে ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নে তুমি ? ‘কে, আমি ?’ হরীত বললে, ‘না । আমি আছি এখানে । “এক বছর ? তার পর ;’

  • তার পরেও থাকব ।’ ‘কত দিন থাকবে ? বাজকুডুলের মত এক শ বছর ?’ অৰ্চনা হাসতে-হাসতে

বললে । ‘মা আজকের রাতের মতন ঘুমিয়ে পড়েছেন।” ‘তোমার চোখে অণলো লাগছে । বাতিটা নিভিয়ে দিই । এই যে নিভিয়ে দিয়েছি ।” ‘এখন বেশ অন্ধকার । শান্তি । চার দিক ঘিরে অন্ধকার, মাইলের পর মাইল, পৃথিবীতে মৃত্যু ঘটে প্রতিফলিত হয় যে অমৃত্যুর দূর অপৃথিবী লোকে, সেই নিবিড় নিস্তব্ধতা ও শান্তি । ‘এখন ঘুমোও—আমি চললাম— ‘কোথায় ? ওরা তো কেউ আসে নি। আজ রাতে আসবে না।’ წ“)\ყ}y