পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘তোমার জন্যে বসে অাছে রান্না । সব হয়ে গেছে—যা এখন চট করে চণন করে আয় । অবিনাশবাবুদের দিঘিতে যাস নি ; সে দূর পাল্লা । মহেশসাগর থেকে চান করে অণয় ।" ‘কে রেখেছে ?” ‘আচfনা, আবার কে ?’ ‘কী রেখেছে ?” ‘পাঠ মুখস্থ করে রেখেছি আমি । খেতে বসে দেখবি । হরীত মাথায় তেল মাখতে-মাখতে বললে, ‘কেন আণবণর তাকে রাখতে বললে তুমি— ‘বলার দরকার করে না । আটটার মধ্যেও তুমি বাড়িতে ফিরলে না দেখে নিজেই তো মাছ-তরকারি বঁটি নিয়ে বসল।’ হারীত চান করে ফিরে এসে দেখল সুমন কেমন দাত বার কয়ে ই করে ঘুমোচ্ছে । বাতাস নেই, দু-একটা মাছি তাড়না করছে । কপালে আস্তে একটা টোকা দিতেই জেগে যাবে মা । কিন্তু থাক, জাগিয়ে দিয়ে লাভ নেই । বিশ্রাম চাচ্ছে হয় তো—পাচ্ছে হয় তো শরীর । দিন নেই, রণত নেই, কেবলই যে ঘুমিয়ে পড়ছে মানুষটা । এ জিনিস ভাল কি খারাপ, জাগিয়ে দেয়া উচিত না ঘুমোতে দেয়াই ঠিক, ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে দেখবে সে, ভাবতে-ভাবতে সন্দিগ্ধ মনে রান্নাঘরের দিকে গেল । অচনা কোথায়, নেই বুঝি বাড়িতে। কিংবা গরমের ছুটিতে নিরালা দুপুরে মহিমবাবুর কবলে আছে হয় তো । রান্না ঘরে ঢুকে ঠিকঠাক করে গুছিয়ে নিয়ে ধীরে সসুস্থে খেল সে । নানা রকম জিনিস রেখেছে আচfনা, নিজের পয়সা খরচ করে নিশ্চয়ই, ভাল রেখেছে, ঝাল কম দিয়ে ভাল করেছে ; বেশ ক্ষিধে আছে অপজ হগরীতের । অনেক কিছু খেল সে, খুব বেশি করে খেল । হারতের সাড়া পায় নি অচনা হয় তো, ঘুমিয়ে আছে, বাড়িতে নেই বোধ হয়। অনেক ক্ষণ বসে খেল যদিও হারীত, কিন্তু তার খাওয়ার ভেতর হঠাৎ এসে পড়ল না সুমনা কিংবা অচনা তদারক করবার জন্যে । ভালই হয়েছে । যখন ক্ষিধে পায় একা খেতে ভাল লাগে, নিজের ক্ষিধের রাক্ষসটাকে অন্যের কাছে ফলাও করে না দেখানো ভাল ; যখন ক্ষিধে থাকে না, কেউ কাছে থাকুক, দেখুক মানুষটা কেমন কঠিন, কেমন \©qo