পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারীত চোখ ছোট করে নিয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে ভগবতে-ভগবতে বললে, ‘মনে পড়ছে না ঠিকানা, সুলেখাকে জিজ্ঞেস করে তুমি, সে জানে। ‘তুমি জান না ? চিঠি লেখেন না তোমাকে নিশীথবাবু ? “না ।" “তুমি লেখ না তাকে ? ‘না । কী লিখব ?’

  • আচfনা লিখছে ?

‘বুঝতে পারছি না।’

  • আচ’নার কাছে চিঠি এসেছে তার ? “দেখি নি তো ? চেন তো তুমি অচনাকে ! মুখ চেনা শুধু ? না কি মেলামেশি হয়েছে বেশ ? সে কথার কোনো উত্তর না দিয়ে জুলেখা বললে, “শুনেছি অচীনা নিশীথবাবুকে খুব শ্রদ্ধা করে । কিন্তু নিশীথবাবুর বিশেষ কোনো ভাব নেই স্ত্রীলোকটির

ওপর ।” "শুনেছ ?’ জুলেখা শুনেছে, আরো অনেকে হয় তো, কিন্তু সে নিজে বিশেষ কিছু শোনে নি অনুভব করে আস্তে-আস্তে বললে হরীত। "শুনেছি তো । কাদের কাছে শুনেছি সেটা তোমাকে জানাতে পারি, কিন্তু জানবার আগ্রহ নেই তোমার। খুব আস্তে-আস্তে কথা চলছিল তাদের। ইচ্ছে করে নয়, চেষ্টা করে নয়, স্বাভাবিকভাবে নিচু ঠাণ্ডা গলায় জুলেখা কথা বলে, তেমনি গলায় উত্তর পাচ্ছিল হারীতের কাছ থেকে । ‘অচনা মাসি বাবাকে শ্রদ্ধা করে এটা আর এমন-কি আশ্চর্য ঘটনা জুলেখা । *অচনা—মাসি বল না কি তাকে তুমি ? ‘হ্যা, আচনা মাসি বলে ডাকি । ‘কেন, বেশি বয়স তো নয় অচfনার । তোমার সমান তো আচনি । না তোমার চেয়ে ছোট ? অচনা মাসি বলেই তো ডাকি আমি, হরীত মুখ ভারী করে দূর সিসবেনের দিকে তাকিয়ে বললে । ԾԵՏ