পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার দিকে গিয়েছে ?” "ওরা তো বয়সে অামার চেয়ে ছোট নয়।’ ‘ওরা সকলেই তোমার চেয়ে বয়সে বড় বুঝি ? কিন্তু— ‘আমার চেয়ে বয়সে ছোট কোনো ভাগনে বা ভাইপো, জুলেখা বলতে আরম্ভ করেছিল । ‘বুঝেছি, হরীত বললে, ‘তাদের মাসি তুমি, যেমন আচনা আমার মাসি —সেই হিসেবে ভালবেসেছে । স্ত্রীলোকের মন নিয়ে ভালবাসনি সে সব পুরুষকে ' "আচনি'র তো স্ত্রীলোকের মন তোমার সম্পর্কে ?’ হারীত বললে, ‘এক-এক জন স্ত্রীলোকের মনের প্রসার খুব বেশি । সেই হিসেবে । না হলে আমি কে ?’ ‘তোমার কি পুরুষের মন জেগে উঠেছে ? তালপাতার টড়-টড়-টড়ক-টড় শব্দ হচ্ছিল আবার অফুরন্ত বাতাসের ভেতর ; বড়-বড় ছড়ানো প্রাণঘন বৃত্তগুলোর দিকে চোখ তুলে তাকাল হারীত । ‘তোমার পুরুষের মন ?’ জিজ্ঞেস করল জুলেখা । হার্যত চিন্তিত মুখে কিন্তু তবু যেন খানিকটা নিস্তার বোধ করে বাইরের কীটপতঙ্গ আকাশ-বাতাসের দিকে তাকিয়ে কোনো কিছুকেই গ্রহণ না করে জুলেখার প্রশ্নের সৎ উচ্চারণের বলয়স্পর্শে বিমুগ্ধ হয়ে চুপ করে রইল । ‘কে জাগিয়েছে তোমার মন তা হলে ? কোনো উত্তর দিল না হরীত । চলন্ত আণ স্বাস্থ একক মেঘের মত বেশি আলোর দিকে এগিয়ে হরীত বললে, ‘সরবতি নেৰুর ফুলের ভেতর কারা নিবিষ্ট হয়ে আছে সেই ভোরবেলার থেকে, দেখেছ জুলেখা ? ‘ওরা তো মৌমাছি । ওগুলো মৌমাছি নয় হরীত ? ‘হ্যা, মৌমাছিই তো । এতদিন জলপাইহাটির কোলে মানুষ হয়ে তুমি মৌমাছি চিনছ না ?” 'চিনেছি তো, বলেছিই তো মৌমাছি।’ হারীত একটু হেসে দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললে, কতকগুলো কালো মেঘে বাইরেট অন্ধকার হয় গিয়েছিল, ঘরের ভেতরটা এত বেশি অন্ধকার లిషిని