পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অামার সঙ্গে ওয়াজেদ আলি সাহেবও এসেছেন । আমি তাকে মত দিয়েছি । কথাটা তোমাকে জানাতে এসেছি আমরা ।” আচ্ছা, বাড়ি যাও, জুলেখা আস্তে-আস্তে বললে, “আমি যাব না। আমার এখন এ বাড়িতে অনেক কাজ ।” সুলেখারও এ বাড়িতে খুব কম কাজ ছিল না, কিন্তু অৰ্চনাকে, হরীতকে—হঠাৎ নিশীথের মতন এক জন প্রামাণিক মানুষকে, চোখের সামনে দেখতে পেয়ে হকচকিয়ে উঠে এক কোণায় সরে দাড়িয়ে, তার পর আগস্তে-অাস্তে চলে গেল সুলেখা । সুলেখা ওয়াজেদ আলিকে বিয়ে করছে ? নিশীথ জিজ্ঞেস করল। ই্য।’ 'আমাকেও তো বিয়ে করতে পারত, একটু হেসে বললে নিশীথ, ‘এই তো মরে গেল আমার স্ত্রী ।’ 'আশ্চর্য মানুষ আপনি নিশীথবাবু?—রাতের বাতাস খুব বেশি শব্দ করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে শুনতে-শুনতে জুলেখা খুব নিচু গলায় বললে । নিশীথের কথা শুনতে পেল সুলেখা, দরজা পেরিয়ে অন্ধকারে যাব কি না-যাব করছিল সে । ফিরে এল । *ওয়াজেদ আলি সাহেবকে আর রাত করতে দিলুম না। সাহেবকে চলে যেতে বলেছি । আজকেই সৎকার হবে ? নিশীথের দিকে তাকিয়ে সুলেখা জিজ্ঞেস कब्रण । “হ্যা, আজ রাত্রেই। থাকবে তুমি ? *্যা, আমি আলি সাহেবকে দাড় করিয়ে রাখলুম না আর । *ভা হলে আমি বাড়ি যাই সুলেখা—ম এক আছেন, জুলেখা বললে । নিশীথের কাছে এগিয়ে গিয়ে বসল সুলেখা, জুলেখা বাড়ি গেল না । অৰ্চনা দাড়িয়ে রইল । এ সৰ জিন-পরীদের ব্যাপার দেখবার জন্য ঘরানা মেয়ে সুমনা কোথাও নেই —নিশীথ নিবিষ্ট হয়ে ভাবছিল । খুবই নিবিষ্ট হয়ে ভাবছিল—তাকিয়ে দেখল ওয়াজেদ আলি সাহেব পাশে দাড়িয়ে আছে নিশীথের ; সারা রাতই হয় তো ; দরকার হলে চির রাত। কে কণর জন্যে থেকে যাচ্ছে সেটা বলা কঠিন, কিন্তু এরা সকলেই যেন সময়েব শেষ হিরণ্যগর্ভ রাত আদি রয়ে যেতে পারে এ ঘরে NS\sప్రి