পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভেন্দু থেমে গিয়ে দু জনের মুখের দিকে তাকিয়ে বললে, ‘কল্যাণীর চেয়ে আমি ছ বছরের বড় ।” কল্যাণী ঈষৎ লজ্জিত হয়ে হেসে বললে, ‘কৈফিয়তই তো দিচ্ছেন এসে অবিদ – কিন্তু আমরা তো কেউ চাই নি ত! আপনার কাছ থেকে ; আপনি ভাল হয়ে বসুন, কেমন আছেন বলুন, অনেক দিন পরে দেখা হল সত্যি, সেই— একটু থেমে নিয়ে সে বললে, ‘একে তুমি তো খুব চেন প্রমথদণ ? শুভেন্দু বললে, কিন্তু কল্যাণীকে আমি কি করে অতখানি চিনে ফেললাম সেইটেতে তোমার খটকা বাধে হয় তো প্রমথ ।" কল্যাণীর দিকে তাকিয়ে শুতেন্দ্র বললে, কিন্তু প্রমথের সঙ্গে তোমার একদিনের আলাপ এত খানি ? এও তো এক অণশ্চর্য !" কল্যাণী—“আপনার সঙ্গে সাত-আট দিনের পরিচয় শুভেন্দুবাবু। কিন্তু প্রমথদণকে সাত-আট বছরের বেশি—” শুভেন্দু কল্যাণীকে কেটে দিয়ে স্তম্ভিত হয়ে বললে, ‘সাত-আট বছর । বল কি হে প্রমথ 1’ একটু পরে হেসে বললে, ‘তা হলে একে সেই ফ্রক পরার সময় থেকে দেখে আগসছ ? থেমে আবার হেসে বললে, ‘বেশ, বেশ । কিন্তু প্রমথর কথা আমাকে তুমি বল নি তো কল্যাণী !' —“আপনাকে আমি কণর কথাই বা বলেছি, ক দিনই বা আলাপ অপমাদের।” —“কিন্তু প্রমথর কথা উঠতে পারত না কি ? আমাদের দু-জনেরই এমন চেনা মানুষটা । সকলেই চুপ করে রইল । কল্যাণী বললে, ‘এর সঙ্গে আমার কোথায় অtলাপ জগন প্রমথদণ ? শুভেন্দু বললে, তাও জানাও নি প্রমথকে ? তোমরা দু-জনেই তো জানতে যে প্রমথর বিয়েতে আমি আসছি অথচ আমার সম্বন্ধে তোমাদের দু-জনের ভিতরে একবারও কথা হয় নি ? শুভেন্দ্র খুব অবাক হয়ে পড়ছে। প্রমথও বিস্মিত হয়ে কল্যাণীর দিকে তাকাচ্ছে । বাস্তবিক, শুভেন্দ্রর সাথে তার এত যে পরিচয়, শুভেন্দুবাবু যে তাকে চিঠিও 8o२