পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ ও তার আচলমান নিশ্চয় মৃত্যুর এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা–মাঝখানেতে চোরাবালি আশ্বাসে ভরপুর আজ আমাদের পৃথিবী—এই শতাব্দী এ রকম । তোমার কারণ ক্রান্তি তবু আমায় অভয় দিল তোমার আণলে। আঁচল অণভাস শরীর নীল আকাশে শরৎ এলে সূর্য জ্যোৎস্না হরিয়ালের কথা জাগিয়ে দিয়েছিল— পাখি-হস্তারকের প্রাণে—কামের চেয়ে প্রেমে তাহার দু চোখ পূর্ণ ক’রে অন্ধকারে তারা নদ। সকেণরখোরার ঝিরঝিরণনির মতন তোমার চোখের মণি, চুল, শরীর শাস্ত দয়ালুতায় জেগে উঠে পরীর, মনে হয়, জানে দয়ার মীমাংসা — দান, শরীরদান নয় । তবুও কেন আমার পানে তাকিয়ে আছে একা এগার বৃহস্পতি বার সূর্যে ভরা আজকে পৃথিবীতে চারিদিকে আর্তি অব্যাহতি তলব সুখবরের দিনে খাতক কেন আটকে পড়ে আছে তবু মহাজনের ঋণে ক্রুর আমি ? তিক্ত তুমি ? কিংবা স্বীয় স্বীয় প্রাণের বিনিময়ে সবই সত্য, স্থির ঃ কাকচক্ষু জলে কি পূরণীয় ? ঢের তাপিত জেগে উঠে ঐ মহিলার বলয়-আলোর পানে কিশোর যুবা প্রবীণ মনে তবুও নতুন উত্তেজনা নিয়ে কী চায়, অtহা, সে কোন নতুন আলোর গ্রন্থি সন্দীপনের তারা ? আমার এ সব কুশল প্রশ্নে চকিত হয়ে শচী অহল্যার বলছে হেসে, সেই রমণী এইখানেতেই আছে এসো শরীর অথবা তার ব্যাধির অতীত মৃগনাভির কাছে রাত্রিবেলা ঘাসের শিষে একটি শিশির ফোটে