পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫১ থেকে ৪৮৯ পৃষ্ঠা— নবম খাতা ৪৯০ থেকে ৫১৭ পৃষ্ঠা – দশম খাতা এর মধ্যে দশম খাতাটিতে খাতার অতিরিক্ত কিছু পৃষ্ঠা ভিতরে পিন দিয়ে আটকানো । এই সব খাতার একটি পৃষ্ঠায় জীবনানন্দের হাতের লেখায় ২৫০টি মত শবদ অণটত । জীবনানন্দ বেশির ভাগ এ রকম পাতাতেই লিখতেন । তার হাতের লেখায় হরফগুলি ছোট, এক আকারেরই, ছিল । কিন্তু, তার দুটো লাইনের মাঝখানে বেশ ফণক থাকত। লাইনকণটা কাগজে লিখলেও লাইন মেনে চলতেন না ; বরং বলা যায়, তিনি দুই লাইনের মাঝখানের ফকেট মেনে লিখতেন । মাঝে মধ্যেই পাতার অনেকখানি অংশ শণদণ ছেড়ে দিয়ে অণবণর পরের পাতায় চলে যেতেন । কবিতায় এ-রকম ত করতেনই, গল্প-উপন্যাসেও এটাই ছিল তার লেখার রীতি । ‘জলপাইহাটির খাতাগুলোতে র্তার হাতের লেখা একই রকম কিন্তু একটু মোটা নিবের কলমে বলে হরফগুলো স্পষ্ট । কোনো পাতায় তিনি প্রণয় কোনো ফাকই দেন নি। কোথাও লাইন ছেড়ে দেন নি। শুধু যেখানে কাহিনীগত প্রয়োজনে অধ্যায়ের মত অংশ শেষ করে নতুন অংশ শুরু করেছেন, সেখানে, প্রথম কয়েকটি খাতায় পাতার বাকি অংশ ছেড়ে দিয়ে, নতুন পাতায় গেছেন, শেষ কয়েকটি খাতায়, কয়েকট লাইন ছেড়ে দিয়ে অণবণর লিখতে শুরু করেছেন । এ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিতে কোথাও কোনো অনিশ্চয়তা নেই। জীবনানন্দ পরিকল্পিত ভাবে তার উপন্যাস শুরু ও শেষ করেছিলেন । প্রথম দিকের পাতাগুলোতে সংশোধনের সংখ্যা অনেক বেশি । সংশোধনের চেহারাতে বোঝা যায় যে লিখতে-লিখতেই কাটাকুটি করা । কারণ, কালির রং ও নিবের ধাচ অপরিবর্তিত । তার ওপর, এই সব কাটাকুটির জায়গায় নতুন কোনো সংযোজন নেই। তাতে মনে হয়, তিনি লিখতে-লিখতে কেটেছেন, তবে, এই কাটাকুটি জীবনানন্দের তুলনায় কম । তার মধ্যে প্রথম দিকের খাতাগুলো থেকে এই কাটাকুটি ধীরে-ধীরে কমে এসেছে । 8©8