পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*তিনটে পেয়ালা, জিতেন যদি এসে পড়ে—’ ‘বলেছিলেন চণরটের আগে আসবেন না—’ ‘তাই তো কথা । তবে বিশেষ বন্ধু কেউ বাড়ি এলে আচমকা উড়ে আসে জিতেন—বন্ধুকে ভালবাসে বলে— নমিতা বাবুর্চির দিকে তাকিয়ে বললে—“যাও, আগর-কোনো দরকার নেই। বন্ধুকে ভালবাসে বলে । আমাকে দিয়ে হোস্টের কাজ করিয়ে খুশি নয় জিতেন । ও অনেকদিন আইবুড়ে ছিল কিনা, ধাচটা রয়ে গেছে— মধু ও দুধের মত একটা মধুরতা নডছিল নমিতার ঠোঁটের কোণায় যেন— হাসির ; ফোটে নি হাসি ; মাথা এক-আধবার নেড়ে নিল ; কিন্তু আক্ষেপ খুব সম্ভব নয়, এমনিই—একটা সুন্দর মুদ্রাদোষের প্রেরণায় । নমিতাকে দেখাচ্ছিল শোনাচ্ছিল কেমন চমৎকার, যেন আর্যসুষমার কী-একটা রূঢ়তাকে ধুয়ে স্নিগ্ধ করে দিচ্ছে—আকাশের হগওয়া । ‘বই, সপনি ওয়াশিং বেসিনে গেলেন না তো ! ‘আমি নীচের থেকে হাতমুখ ধুয়ে এসেছি । নীচের থেকে ? সুন্দর কালো চোখ পাকিয়ে গোল হয়ে গেল ; বিক্ষুব্ধ হয়ে নিশীথের দিকে জবাব দিল নমিতা । ‘জিতেন বলে দিয়েছে আমাকে, আপনার ঘুম ভাঙলেই দোতলায় বাথরুমে আপনাকে পাঠিয়ে দিতে । সব ব্যবস্থাই তো করে রেখেছি সেখানে । ‘ব্যবস্থা কখনো মারা যায় না, নিশীথ বললে, “আপনার কথা শুনতে-শুনতে গ্রহণ করেছি । আরো একটু পরে আরো স্পষ্টভাবে কাজে লাগাবার দরকার হবে হয় তো । ধন্য হয়েছি । অনেক ধন্যবাদ ।” কফি ঢালতে-ঢালতে একবার নিশীথের দিকে দ্রুত চোখে তাকিয়ে নিয়ে নমিতা বললে, ‘নীচের জল ঠাণ্ড ছিল ?

  • ៧ ”

“ভাল লেগেছে ? ডাইনিং রুমে গিয়ে থাবেন ?” এখানে অসুবিধে হচ্ছে আপনার ? ‘না । জিতেন অণর আমি মাঝে-মাঝে ড্রয়িং রুমে বসেই খাই ।” ‘কী খেয়ে গেল জিতেন, অফিসে যাবার আগে ? ‘চারটে ডিম—আলু ভগজা—কফিও খেয়েছে নিশ্চয় । আমি উঠবার আগেই 'II