পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিদ চেচে খেয়ে গেছে সব। এতটা হা-পিত্যেশ জিতেনের দেখি নি আমি কোনো দিন । অণপনি দেখেছেন ?? বলতে-বলতে তরতাজা কৌতুকে তাকাল নমিত । তাকিয়ে দেখছিল নিশীথ—নমিতার দিকে নয়—বিষয়ের এই অপরূপ অবতারণার দিকে ; নিশীথই যে খেয়েছে সব, সেটা জানা না-থাকাতে ভারী তাজ্জব বিষয়ই বটে ; বোতলকে বোতল জেলি, জ্যাম, আচার উড়িয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেছে দাশগুপ্ত ! ‘বডড ক্ষিদে পেয়েছিল তাই খেয়েছে। জলও খেয়েছে বুঝি খুব ? ‘খাবার ঘরের সব বোতল খালি করে গেছে । আজ সকালে একটু মিনারেল ওয়াটারের দরকার হয়েছিল আমার । পেলুম না । সব খালি । আপনি কেক খাচ্ছেন না ? খান্দদার ভালো কেক, বাবুর্চিকে দিয়ে আনিয়েছি। কফির সঙ্গে কৗ খাওয়া যায় ? এক টুকরো পাউরুটি অব্দি নেই— ‘নেই ? ‘নেই ।” ‘ভারি বিপদ ৩ো । তাই বলে দিনে বাড়ি এলে ওকে বলবেন না কিছু, লজ্জা পাবে। খিদে পেয়েছে, খেয়েছে, চুকে গেছে। তবে, একটা কাজ করতে পারেন—' কেকের ক্রিম খেতে-খেতে নমিতা তাকগল নিশীথের দিকে । ‘আজ রাতে যেন ভালো করে জোলাপ নেয় । তারপর, দু-চার দিন পরে কলেরার ইনজেকশন নিলে ভালো হয় ।” ‘আজকাল খুব বাড়াবাড়ি শুনেছি কলকাতায় রোগটার।' এখনও উঠতির মুখে, বাড়াবাড়ি শুরু হয় নি। কলেরার প্রতিষেধ খুব ভাল কণজ করবে ।" ‘আপনি নেবেন না টিকে ?’ ‘আগমণর দরকার নেই ।” নমিতা কফির পেয়ালাটা শেষ করে তেপয়ের ওপর রেখে দিয়ে বললে, ‘কলকাতায় এপিডেমিকের ভিতর এসে পড়েছেন, কেন নেবেন না ? ‘অামার দরকার নেই।' ‘আমি নেব ?