পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্রের মতো তাকিয়েছিল নে—কোনো জিনিসের দিকে নয়, অফুরন্ত সময়কণিকাগুলোর দিকে । জিতেনের ঘরে শোবেন আপনি আজ রাতে, কিন্তু ঘুমুতে পারবেন তো ?’ ‘কেন কী হবে ?" ‘সে ঘরে টেলিফোন বাজে ।” ‘তা বাজতে থাকবে ।’ ‘ধরতে হবে তো । , জিতেন জামশেদপুরে আছে—টেলিফোন ধরে কী লাভ ? বড় ব্যবসায়ী মানুষের কাছে নানা রকম জরুরি খবর আসে । জিতেন জামশেদপুরে—সবাই কি তা জানে। সাহেব চলে গেলে তার স্ত্রী নেই ? সাহেব তো হল । আমার নিজের প্রাইভেট টেলিফোনও আছে ; রাতে, অনেক রাতেও অণসে ।" 'অনেক রাতে যে প্রাইভেট ফোন অণসে সেটা আমার ধরা উচিত নয়।’ ‘সে ফোন আমার অনেক রাতের নিজের জিনিস ; যদি অনুচিত হয় আমি নিজে বলে দেব, নমিত হেসে বললে— নিশীথ সিগারেট জ্বালিয়ে নিয়ে বললে, ‘জিতেন ধরে ? আমার ফোন ? “হ্যা !” ওর ঘুম বেশি। নিশীথ চিমটের মত করে ডান পায়ের আঙুল দিয়ে টেনে তেপয়টা আস্তেআস্তে নিজের দিকে নিয়ে এল । সিগারেটের কিছুটা ছাই তেপয়ের অ্যাশ-ট্রের ভিতর ঝেড়ে ফেলে তেপয়টা আঙলে ঠেলে আস্তে-আস্তে সরিয়ে দিল আবার, ‘রাতৃ-বিরেতের সমস্ত টেলিফোনই আপনার ধরতে হয় ? বেশি রাতে জিতেনের কাছে ফোন আসে না । ‘আমি যদি ধরি আপনার ফোন'—বলে নিশীথ চুপ করল । আরো কিছু বলবে হয় তো সে । কী বলবে, বলে নিক ; শোনা যাক। নমিত নিশীথের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল, নিশীথ কিছু বললে না আর । আপনি ফোন গ্নরে, যদি ওদের কথাটা জেনে রাখতে চান ওরা তাতে G२