পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘আছে । আমি পছন্দ করে দিয়ে যাব । পড়ে আমাকে বলতে হবে কেমন লাগল । আজকের খবরের কাগজ পড়েছেন ? ין וה" ‘খবর জানবার তাগিদ নেই আপনার, দেখছিলুম আমি । জিতেনের খুৰ আছে । আমার মাঝে-মাঝে থাকে—মাঝে-মাঝে হারিয়ে ফেলি । পড়বেন খবরের কাগজ ? ‘না”—বললে নিশীথ—‘বিকেলবেলা ইফতিকণরউদ্দিন সাহেবের বাড়ি বেড়াতে যাবেন ? ‘ভাবছি কী করব’, নমিতা বললে, “দু-একদিন ফ্ল্যাশ খেলেছি ওদের সঙ্গে । ভাল লাগে না, টাকা নষ্ট হয় বলে নয় ; ওদের ওখানে কেউ নেই যেন মনে হয়, কিছু নেই যেন ; ভারী ফলক লাগে । অথচ খুব হৈ চৈ দিনরাত । আমি শান্তি ভালবাসি কিন্তু বেণকণর মতো নয় । তার চেয়ে অশান্তি ঢের ভাল । কিন্তু ওদের ওখানে—যণর দিনরণত সরগরম হয়ে থাকতে ভালবাসে তাদের খুব ভাল লাগবে ।’ ‘জিতেন যায় না ইফতিকণরউদ্দিন সাহেবের বাড়ি ?” "ן וה* সলিল মুখুজ্যে সাহেবের ওখানে ? 'ক্কচিৎ যায়। নানা রকম কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ‘খুব বেশি রাতে কারণ টেলিফোন করে আপনাকে ? ‘কয়েকটা রাত ধরলেই তো বুঝতে পারবেন। ‘আমি ধরব ? আপনি তো ঘুমিয়ে থাকবেন।’ ‘আগমণকে যা জানাবণর অণপনাকে তা জানিয়ে দেবে ।’ ‘যেন জানালেই হল, বড় বাজারের মাড়েগয়ারিরা নাক রগড়ে কোটেশন জানাচ্ছে ; সেই রকম বুঝি ? কিন্তু তা তো নয়—’ভাবছিল নিশীথ । 'নমিতাকে ডাকলে নিশীথ সেন যদি হাজির হয়—’ ‘তা হলে এক মণ তুলোর থেকে এক মণ লোহা বেশি ভারী হবে বুঝি ?— নমিত হাসতে-হাসতে বললে । বাইরে পড়ন্ত রোদ, সমস্ত ড্রয়িংরুম চৈত্রের বিকেলের বাতাসে ভরে গিয়েছে, দু-একটা খোলা পাতলা বইয়ের পাতা ফরফর করে উড়ছে । মস্ত বড় ○○