পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা করে না । পণয়ও না । অনেক বছর চাকরির পরে মাইনে এখনে । এক শ ত্রিশ টাকা । পড়িয়ে তৃপ্তি মহিমের—কলেজ কমিটির ঘোড়েল মেম্বারের ছেলে নিত্যেনকে পড়িয়ে তৃপ্তিটা নাভির ভিতর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে, যেন সমস্ত শরীরে অনেকক্ষণ টিকে থাকে । বড়লোকেরা কাউকে কিছু দেয় না, জানে নাকি মহিম ? তবুও ও-সব মানুষকে নিষ্কাম খোশামোদ করতে খুব ভাল লাগে । ‘ওঁকে ও-রকম ইক ডাক করে ডাকলে যে তুমি ? অর্চিতা বললে । ‘তুমি আমি আকাশ বাতাস মহিম-এর ভিতর ডুকরে উঠতে ভাল লাগে ঐ নীল জলজঙ্গলের ডাকপাখিটার মত । শুনেছ সে ডাক ; চকচকে রোদে, বেশি রাত্রের নক্ষত্রে ? কোথায় গেল মহিম ? "নিত্যেনদের বাড়ি ।

  • লজিক পড়াবে ? ‘পড়বার তারিখ কাল । অণজ হয় তো এমনিই গেল । আগের থেকে না জানিয়ে রাখলে নিতেন অনেক সময়ে ভুলে যায়, তাই মনে করিয়ে দিতে গেল হয় তো । গেল যখন, দু-এক পাতা পড়িয়েও আসতে পারে । তোমাকে রানুর কথা বলব বলেছিলাম।”

‘বলে ।” ‘রোদ চড়েছে এখানে | চলো, করমচার বনে ৷” নিশীথ গড়িমসি করতে লাগল আবার । বললে, ‘আগচ্ছা, যাচ্ছি। এসো এই ছায়ায় বসা যাক । জাম-তেঁতুলের ছায়া পড়েছে এখানে । লোকজন চলছে-ফিরছে বটে সব চারদিকে—কিন্তু অণমণদের কথায় কান দেবার কে আছে । শান-বাধানে রোয়াকের উপর বসে তুমি, আমি এই গাছের গুড়িটায়—আঁ্যা—হঁ্যা ।”—বলে, একটা শব্দ করে নিশীথ গুড়িটার উপর বসে পড়ল, 'নাও ন-বোঁ, এখন বেীনি কর।’ অর্চিত গোজ হয়ে বসে রইল কিছুক্ষণ —‘ন-বোঁ কেন ? ‘মহিম তো অামার চেয়ে ছোট । যেন মহিম আমার ছোটভাইয়ের ন-দণদণ । তাহলে তুমি ন-বোঁ হবে না আমার ? ‘ও’—অর্চিতা একটু তেরছ কান্নিক মেরে বললে, কিন্তু লোকে দেখলে ԳՆ,