পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>o○ অপর এক পুত্র যশোবন্ত রাও দীর্ঘকাল যুদ্ধবিগ্রহের পর দৌলত রাও এর হস্ত হইতে ইন্দোর উদ্ধার করেন । কাশীরাম দাস — প্রসিদ্ধ বাঙ্গাণী কবি । বাঙ্গালা ৯৬৫ সালে বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত কাটোয়। মহকুমার অধীন সিঙ্গিগ্রামে কাশীরাম দাস জন্মগ্রহণ করেন । ইহঁীর পিতার নাম কমলা কাস্ত দাস, পিতামহের নাম সুধাকর দাস ও প্রপিতামহের নাম প্রিয়ঙ্কর দাস । তিনি বাল্যকালে পিতার নিকট হইতে বিদ্যশিক্ষা লাভ করেন। বঙ্গভাষা ও সংস্কৃতভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া তিনি মেদিনীপুর আতাবাগড়স্থ রাজার আশ্রয়ে কিছুকলি অতিবাহিত করেন । রাজ-আশ্রিয়ে থাকিয় তিনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতা রচনা করিতে আরম্ভ করেন । ক্রমে যখন র্তীতার কবিত্তা রচনার খ্যাতি প্রচারিত হইল, তখন “নলোপাথ্যান” নামক একখানি ক্ষুদ্র কাব্য রচনা করেন । ইহার কিছুদিন পরে “জলপৰ্ব্ব” ও “স্বপ্নপৰ্ব্ব” নামীয় অপর দুইখানি কাব্য রচনা করেন । অবশেষে বাঙ্গাল। ১ ও ০ ০ সালে অর্থাৎ ৩৫ বৎসর বয়ঃক্রম কালে মূল সংস্কৃত মহাভারতের বঙ্গামুবাদ রচনা করিতে আরম্ভ করেন । উক্ত বিরাট গ্রন্থ অনুবাদ করিতে র্তাহার জীবনের বাকী সমুদয় সময় নিয়োজিত ছয় । মহাভারত নামক বিরাট ভারতীয়-ঐতিহাসিক কাশীরাম গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ রচনা করিয়া ইনি বাঙ্গালী জাতীকে অমূল্য সম্পদ দান করিয়া গিয়াছেন । তাহার জন্ম ৯৬৫ বাংলা সালে নিৰ্দ্ধtরণের মূলে যথেষ্ট যুক্তি রহিয়াছে এবং ১০১১ সালে যে তিনি বিরাট পৰ্ব্ব রচনা সমাধ। করেন, তাহাও যুক্তি সিদ্ধ ; র্তাহার কনিষ্ঠ সহোদর গদাধর দাসের ‘জগন্নাথ মঙ্গলে উল্লেখ হইতে ১০৫৫ সালেও যে কাশীরাম জীবিত ছিলেন তাহা ও অনুমান করা যাইতে পারে। কেহ কেহ কাশীরামের সংস্কৃত জ্ঞানে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন । কিন্তু যদিও কাশীরাম মূল সংস্কৃত মহাভারত সৰ্ব্বত্র অনুসরণ না করিয়া, বহুস্থানেই স্বীয় কল্পনা ও কপিত্বের আশ্রযুগ্রহণ পূৰ্ব্বক আ শুক মত পরিবর্তন, পরিবদ্ধন ও পরিবর্জন এবং কোন কোন নুতন মনোহর উপাখ্যান সমুহ অন্তভুক্ত করিয়াছেন । তথাপি র্তাহার বিরাট গ্রন্থের পর্ব বিভাগে মূলের সহিত বহুলাংশে সাদৃত ও বহু স্থলে মূলের সহিত সামঞ্জস্য বিধান করিয়৷ যথাযথ আক্ষরিক অনুবাদ দর্শনে কোন ক্রমেও মনে হয় না, তিনি সংস্কৃতে অনভিজ্ঞ ছিলেন। মুলের পর্ববিভাগ নিম্নলিখিতরূপ— (১) আদি, (২) সভা, (৩) বন, (৪) বিরাট, (৫) উদ্যোগ, (খ) ভীষ্ম, (৭) দ্রেণ, (৮) কর্ণ, (৯) শল্য, (১০)