পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাগুলি সেীপ্তিক, (১১) স্ত্রী, (১২) শান্তি, (১৩) অনুশাসন, (১৪) অশ্বমেধ, (১৫) আশ্রমবাসিক, (১৬) মৌষল, (১৭) মহাপ্রস্থান ও (১৮) স্বর্গারোহণ। কাশীরামের মহাভারতের পর্ব বিভাগ কর্ণ পৰ্ব্ব পর্যন্ত মূলের অবিকল অনুরূপ ; এতদ্ভিন্ন ক্রমিক পর্য্যায় ব্যতীত কাশীরামের (১১) স্ত্রী বা নারী, এবং (১৫) অশ্বমেধ পৰ্ব্বও মূল মহাভারতের সদৃশ। (১০) গদা ও (১২) ঐধিক নামক দুইটি পৰ্ব্ব নুতন সন্নিবিষ্ট হইয়াছে, মূলে ইহারা যথাক্রমে (৯) শল্য ও সেীপ্তিক পৰ্ব্বান্তর্গত। মূল মহাভারতের (১৭) মহাপ্রস্থান পৰ্ব্ব দুই ভাগে বিভক্ত হইয়৷ কাশীরামের মহাভারতের (১৭) মেীষল ও (১৮) স্বর্গারোহণ পর্বের অন্তভূক্ত করা হইয়াছে । মোট পৰ্ব্ব সংখ্যা দুই মহাভারতেই এক । “বঙ্গ ভাষার লেখক’ নামক গ্রন্থে উল্লিখিত ‘যানপৰ্ব্ব’, ‘দাস পৰ্ব্ব’, ‘পাশ। পৰ্ব্ব’ ও ‘কুসুম পৰ্ব্ব’ এবং অপেক্ষাকৃত পর1র্তী কালে প্রাপ্ত ‘দীন পৰ্ব্ব’ ও ‘দওঁী পৰ্ব্ব’ নামক পুথি পৰ্ব্বাধ্যায় রূপে গৃহীত হইতে পারে । অনেক মনে করেন প্রথম তিন পৰ্ব্ব ও বিরাটের কিয়দংশ রচনা করিয় কাশীরাম পরলোক গমন করেন, কিন্তু এই মত যুক্তিসহ নহে। পরস্তু কাশীরাম সমগ্র মহাভারত রচনা করিয়াছিলেন এরূপ বিশ্বাসের বথেষ্ট কারণ আছে, জীবনী-কোষ × o 8 তবে ইহাও সত্য যে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা বহু অনুবাদক ও কবির রচনার অংশ শেষ কাশীরামের মহাভারতে সন্নিদিষ্ট হইয়াছে। কাশীরামের মহাভারতের দায়িত্ব পরবর্তী সঙ্কলয়ি ছা ও সম্পাদকগণের । আর বটতলার সংস্করণ নামে প্রচলিত কাশীরামের যে মহাভারতের সহিত আমরা পরিচিত, তাহা ঐীরামপুরের খ্ৰীষ্টান পাদরী কের ও মার্শম্যান সাহেবের সংস্কৃত ও বঙ্গল শিক্ষক পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সংস্করণ । ইহা কাশীরামের মহা ভারতের পাঠ হইতে বহুলাংশে পরিবত্তিত । কাশীরামের বিষয়ে এত মতানৈক্য ও বিতর্ক সত্ত্বেs, ইহা অস্বীকার করিবার উপা: নাই, যে কাশীরাম বঙ্গের একজন শ্রেষ্ঠ কবি । মহাভারতকে আংশিক অনুবাদ বা উপাখ্যান অবলম্বনে কাব্য রচনা ইতিপূৰ্ব্বেও অনেকে কবিয়াছেন, কিন্তু সমগ্র মহা ভারতের অমৃত, তিনি বঙ্গবাসীর ঘরে ঘরে পারবেশন করিয়াছেন । কাশীরামের মৃত্যুর সময়ও সৰ্ব্ব বাদী সন্মতরূপে গৃহীত হয় নাই । কাগুলি – একজন সিদ্ধাচাৰ্য্য । গোরক্ষনাথ দেখ । কাশ্যপ –(১) বৌদ্ধশাস্ত্র মতে গৌতম বুদ্ধের জন্মের পূৰ্ব্বে আরও পঞ্চার জন বুদ্ধ জন্মিয়াছিলেন । কাপ্তপ তাহীদের