কিশোরীমোহন কৰ্ম্মচারীদিগের প্রীতিলাভে সমর্থ হন । পরে আইন পরীক্ষার জন্ত প্রস্তুত হইবার নিমিত্ত ঐ পদত্যাগ করেন এবং আইন অধ্যয়ন ও তৎসহ ‘হালিসহর পত্রিকা’র ইংরাজী অংশ সম্পাদন করিতে থাকেন। র্তাহার বিচক্ষণ সম্পাদনা গুণে ইংরাজীতে সুলেখক বলিয়া তাঙ্গার খ্যাতি প্রচারিত হয় এবং প্রসিদ্ধ সাংবাদিক শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তাহার সহিত পরিচিত হন । অতঃপর আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়ং, হুগলী জজ আদালতে ওকালতী আরম্ভ করেন এবং অল্পকাল মধ্যেই বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন । কিন্তু অইন ব্যবসায় তাচার পছন্দ না হওয়tয়, নরেশচন্দ্র দত্ত দ্বার। পুনঃ প্রতিষ্ঠিত এবং শম্ভুচন্দ্র সম্পাদিত ‘রেইস এণ্ড রায়ৎ’ ( liais and Ryots) পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগদান করেন । শস্তুচন্দ্রের পর লোক গমনের পর যোগেশ চন্দ্র দত্ত ‘রেইস এণ্ড রায়ৎ’ পত্রিক। জীবনী-কোষ ১১২ কর্য্যে সহায়তা করিবার জন্য শেষভাগে সরকার বাহাদুর র্তাহীকে ২৫২ টাকা মাসৌহারা দান করেন । শিক্ষকতা, সরকারী কৰ্ম্ম এবং আইন ব্যবসায় প্রভৃতি সৰ্ব্বত্রই কিশোরীমোহন স্বীয় প্রতিভার পরিচয় প্রদান করেন । ইংরাজীতে মৌলিক প্রবন্ধ রচনায় ও অনুবাদ কার্য্যে তিনি বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করেন । ১৯০৮ খ্ৰীষ্টাব্দে কিশোরীমোহন পরলোক গমন করেন । তাহার একমাত্র পুত্র হরিমোহন গঙ্গোপাধ্যায় আইন ব্যবসায়ে লিপ্ত আছেন । কিশোরী মোহন বাগচী—সুপ্রসিদ্ধ পি, এম, বাগচী কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা । তাঁহাঁর পিতার নাম প্যারী মোহন বাগচী । কিশোরী মোহন দরিদ্রের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন, তথাপি বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করিয়া সামান্ত কেরাণীগিরির জন্য লীলায়িত না হইয়া, নুতন কোন ব্যবসায়ের উপায় উদ্ভাবনে সম্পাদন করিতে থাকিলে, কিশোরী | আত্মনিয়োগ করেন । অবশেষে দেখি মোছন বহুদিন উক্ত পত্রিকার লেখক ছিলেন । কবিরাজ অবিনাশচন্দ্র কবি রত্ন চরক সংহিতা’র ইংরাজী অনুবা করিবার ভার কিশোরীমোহনের উপর অর্পণ করেন । ইহ। ভিন্ন প্রতাপচত্র রায় মহাভারতের যে ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশ করেন, তিনি তাহারও সম্পাদব ছিলেন। কিশোরীমোহন এই অনুবাদ লেন, ঘরে ঘরে প্রস্তুত লিখিবার কালির পরিবর্তে বিলাতী কালিতে দেশ ছাইয়৷ যাইতেছে ও দেশের প্রভূত অর্থ এই বাবদে বিদেশে ঢলিয়া যাইতেছে ; দরিদ্র দেশের এই প্রস্থার শোষণ নিদারণ মানসে স্বদেশী লিখিবার কালি আবিষ্কারের জন্ত কিশোরীমোহন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন । অবশেষে বিদেশী কালির
