'\రి তুলা কিন্তু দামে সস্তা লিখিবার কালি অবিস্কারে সমর্থ হন, কিন্তু সুপ্রতিষ্ঠিত বিদেশী কালির ব্যবসায়ীগণের সহিত প্রতিযোগীতায় প্রথমে তাঁহাকে বহু বাধাবিল্পের সম্মুখীন হইতে হুইয়াছিল। প্রথমে স্বদেশবাসীর যথেই সহানুভূতি তিনি প্রাপ্ত হন নাই | ক্রমশঃ স্বীয় অধ্যবসায় বলে এবং তাঁহার আবিষ্কৃত দ্রব্যের উৎকর্ষের বলে কিশোরীমোহন গভর্ণমেণ্ট, রেলওয়ে এবং স্বায়ত্ব শাসনাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহে কালি সরবরাহ করিতে সমর্থ হন । এই ব্যবসায় দ্বারা প্রভূত অর্থ লাভ করি। কিশোরী মোহন স্বীয় ব্যবসায় অধিকতর প্রসারিত করেন ও শীল মোহর, রবীরষ্ট্যাম্প, পঞ্জিক। প্রকাশ ও পুষ্পসাঁর প্রভূতির ব্যবসায় আরম্ভ করেন এবং এই সকল ব্যবসায়েও যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেন । বাল্যকাল হইতেই কিশোরী মোহন অধ্যবসায়ী কষ্টসহিষ্ণু, কঠোর পরিশ্রমী উচ্চকfজী ছিলেন । ব্যবসায় ক্ষেত্রে তাহার দৃষ্টান্ত বাঙ্গালী যুবকগণের অনুকরণ যোগ্য। কিশোরী মোহন অতিশয় পিতৃভক্ত ছিলেন এবং পিতার স্মরণার্থে পিতার নাম অনুসারে তাহ ব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের নাম পি, এম, বাগচী কোম্পানী রাখেন । ১৩৩০ বঙ্গাব্দে কিশোরীমোহন ৫৭ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন। কিশোরীলাল ঘোষ-অমৃত বাজার পত্রিকার অন্যতম সহকারী সম্পাদক ☽ © -Ꮌ % ভারতীয়-ঐতিহাসিক কিশোরীলাল ছিলেন । তিনি বঙ্গের অন্যতম শ্রমিক নেত্ত ছিলেন। মীরাট ষড়যন্ত্র মোকৰ্দমায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদিগের মধ্যে র্তাহার নাম ছিল । তিনি বেকসুর খালাস পাইয়া ছিলেন। কিন্তু র্তাহার মুক্তি র্তাহার স্বদেশবাসীদের কাজে লাগিল না । দীর্ঘকালব্যাপী ষড়যন্ত্র মেী কর্দমার সময়ে তাহার যে কঠিন পীড়ার স্বত্রপাত হয় । পরিণামে তাহাঁই তাহার অকাল মৃত্যুর কারণ হইয়াছিল। ইহাতে সাংবাদিক জগতের ক্ষতি হইয়াছে এবং শ্রমিকদেরও ক্ষতি হইয়াছে। (মৃত্যু ফাল্গুন—১৩৩৯ ) কিশোরীলাল রায়—ঢাকা জেলার দিপ্তানুরাগী ও দানশীল জমিদার । ঢাকা জেলার অন্তঃপাতী বালিয়াটী গ্রামে কিশোরীলাল জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতার নাম জগন্নাথ রায় । নিজে যথেষ্ট শিক্ষা লাভ না করিলেও, শিক্ষা বিস্তারে তাছার প্রবল অনুরাগ ছিল । পিতার নাম অনুসারে তিনি ঢাকায় জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর জগন্নাথ স্কুল নিজ নামানুসারে “কিশোরীলাল জুবিলী” নামে অভিহিত করেন । একবার ঘুণিবা ত্যাগ ও আীর একবার অগ্নিদাহে কলেজগৃহ বিনষ্ট হইলে, তিনি সত্বর উহা পুননিৰ্ম্মাণ করাই দেন। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্ঠ তিনি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগার নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন । তিনি
