পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉〉Q সিংহের সময়ে তিনি বড় বড়য়া ব৷ প্রধান সেনাপতি ছিলেন । তাঁহারই সাহায্যে রাজেশ্বর সিংহ রাজপদ লাভ করেন । এইজন্য তিনি অতিশয় গৰ্ব্বিত ছিলেন । অঙ্গ এক জন সেনাপতি রাজtর গ্লানিস্থচক একথান পুস্তক রচনা করেন । কীৰ্ত্তিচন্দ্র রাজগোচরে ইষ্ঠ। অনিয়ন করলে, রাজার অাদেশে উক্ত গ্রন্থ ও আরও অনেক গ্রন্থ বিনষ্ট হয় । ইহাতে বহু সন্ত্রান্ত লোক তাহার বিরোধী হন । মোয়ামীর বিদ্রোহে তিনি সেনপতি রাঘ কর্তৃক নিহত হন । কীৰ্ত্তিচন্দ্র দত্ত, দেওয়ান-মুরশিদাবাদ জিলার অন্তর্গত জঙ্গীপুর নামক ও মে ১৭৩৯ খ্রীঃ আন্দে দৈত্য সুপর্ণ পণিক বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তাহার পিত কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত মধ্যবিস্তু অবস্থার লোক ছিলেন । কত্তিচ3 ফtশী ভাষ৷ শিক্ষ। ক1ি জঙ্গ পুরোপ ইষ্ট ইণ্ডি । কোশীনার , রশম কুঠীতে হাজিরনবিশের কর্ঘ্যে নিযুক্ত হন। এই সময়ে সেই রেশমকুঠতে ইলিয়ট নামে এক সাহেব ম্যানেজার নিযুক্ত হইয়া আসেন। তিনি কীৰ্ত্তিচন্দ্রের অসাধারণ কাৰ্য্যনৈপুণা, সরল অমায়িক ব্যবহার ও সাধুত দর্শনে মুগ্ধ হইয়। অবিলম্বে তাহাকে কুঠার দেওয়ানী পদে নিযুক্ত করিলেন এবং তাহার উপর কুঠীর সমস্ত ভার স্ত করিলেন এই কার্য্যে কীৰ্ত্তিচন্দ্র প্রচুর ধন ভারতীয়-ঐতিহাসিক কীৰ্ত্তিচন্দ্র উপার্জন করিয়াছিলেন । তিনি অচিরকালমধ্যে বtধিক প্রায় তিন হাজার টাকা আয়ের ভূসম্পত্তি ক্রয় করিলেন এবং অতি রমণীর প্রাসাদ তুল্য ত্রিচত্র দ্বিতল বাটী নিৰ্ম্মাণ করাইলেন । সেই বাট উংসর্গ করিয়া গৃহ প্রবেশকালে স্বীয় গুরুদেব খোষালচন্দ্র অধিকারী মহাশয় নিমন্ত্রি ত হইয়া আসিয়াছিলেন । তিনি বাট দেখিয়া খুব প্রশংসা করাতে কীৰ্ত্তিচন্দ্র সেই বাটী, সমস্ত তৈজসপভ্রাদি সঙ্গ, গুরুদেবকে দান করিলেন। গুরুদেব সেই প্রাসাদবাটী রক্ষায় নি তা স্তু অসামগ্য জ্ঞাপন করিলে, কীৰ্ত্তিচন্দ্র সেইসঙ্গে ক্রীত ভূমিসম্পত্তি ও তাহাকে দান করিয়া, স্বামীঙ্গী একবস্ত্রে সেই গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া, বৃক্ষমূলে অtশ্রয় গ্রহণ করিলেন । এই সংবাদ মুহূত্তের মধ্যে চারিদিকে প্রচারিত হইলে, দলে দলে লোক র্তাহীকে দেখিবার জন্য অসিতে লাগিল । এই সংবাদ শুনিয়া তাহার মনিব রেশম কুঠীর ইলিয়ট সাহেবও আসিয়াছিলেন । তিনি নানা প্রকারে তাহাকে এই দান যে অন্তায় হইয়াছে, তাই বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন, কিন্তু কীৰ্ত্তিচন্দ্রের স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও সরল ধৰ্ম্ম কাজক্ষ দৃষ্টে নিরস্ত হইয়া চলিয়া গেলেন। এই ঘটনার পর হইতে কীৰ্ত্তিচন্দ্রের প্রতি ইলিয়ট সাহেবের শ্রদ্ধ। আরও শতগুণ বৰ্দ্ধিত হইয়া গেল ।