অল্পমাত্র সৈন্য লইয়া রাজপুরীর অধিশ্বর সংগ্রামপালকে পরাস্ত করে। বিজয়ী কন্দর্প কাশ্মীর প্রবেশকালে রাজা হর্ষদেব, (তখন হর্ষদেব রাজা ছিলেন) তাঁহাকে স্বয়ং প্রত্যুদ্গমন করেন। ইহার পরে লোহররাজ্য শক্র সমাকুল ছিল বলিয়া, উক্ত রাজ্যরক্ষার্থ হর্ষদেব তাঁহাকে তৎপ্রদেশের শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত করেন। কুমন্ত্রীদিগের পরামর্শে রাজা হর্ষদেব ইহার প্রতি, শেষে অবিশ্বাসী হইয়া তাহার প্রাণসংহারের সঙ্কল্প করেন। কন্দর্প ইহা জানিতে পারিয়া রাজকার্য্য পরিত্যাগপূর্ব্বক বারাণসী অভিমুখে গমন করেন। তিনি গয়াধামে যাইয়া তৎপ্রদেশের এক সামন্ত রাজাকে পরাজিত ও দূরীভূত করিয়া তৎপদে অন্য একজনকে স্থাপন করেন। তিনি কাশ্মিরীদিগকে অত্যধিক ‘শ্রাদ্ধকর’ হইতে অব্যাহতি দেন এবং পথের একজন দস্যু সর্দ্দারকে বিনাশ করিয়া তীর্থযাত্রীদের উপকার করেন। বারাণসী অবস্থানকালে একটী বৃহৎ ব্যাঘ্র বিনাশ করিয়া, উক্ত স্থানকে তিনি নিরাপদ করেন এবং উক্ত স্থানে বহু মঠ নির্ম্মাণ করিয়া জীবনের অবশিষ্টকাল তথায়ই ক্ষেপণ করেন।
কন্দর্পনারায়ণ রায়—(১) তিনি চন্দ্রদ্বীপের রাজা এবং বঙ্গের প্রসিদ্ধ দ্বাদশ ভৌমিকের অন্যতম ছিলেন। ১৫৮৬ খ্রীঃ অব্দে তিনি বর্ত্তমান ছিলেন।কন্হোবা রণ ছোড়দাস কীর্ত্তিকর—মহারাষ্ট্রীয় মনস্বী ও উচ্চ রাজকর্ম্মচারী। ১৮৪৯ খ্রীঃ অব্দে তাঁহার জন্ম হয়। স্কুল ও কলেজে তিনি যশস্বী ছাত্র ছিলেন। বোম্বাইতে মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করিবার সময়েই উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংলণ্ডে গমন করেন। সেইখানে নানাস্থানে প্রতিষ্ঠার সহিত অধ্যয়ন সমাপন করিয়া ১৮৭৭ খ্রীঃ অব্দে ভারতীয় চিকিৎসা বিভাগে (Indian Medical Service) কর্ম্ম গ্রহণ করেন। ১৭৭৮-১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দের আফগান যুদ্ধে তিনি সৈন্যদলের চিকিৎসক হইয়া রণক্ষেত্রে গমন করেন। তথায় বিশেষ সাহস ও তৎপরতার সহিত আহতদিগের সেবা ও চিকিৎসা