পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৯ সম্বর লখীমপুরে আইন ব্যবসায় আরম্ভ করেন । কুমারচন্দ্রই খেরী জেলার প্রথম প্রবাসী বাঙ্গালী । আইন ব্যবসায়ে তাহীর যথেষ্ট সুনাম হয় । স্থানীয় জনসাধারণ ও জমাদারগণের মধ্যেও র্তাহার বিশেষ প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল । প্রসাদী নারায়ণ নামক জনৈক স্থানীয় জমিদারের নিকট কুমারচন্দ্র তাহার জমিদারী রঞ্জিং মঙ্গল ক্রয় করেন । ১৮৯৯ খ্রী; অব্দে কুমারচন্দ্রের মৃত্যু হইলে, তাহার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্ৰ জমীদারী ক্রিয় করিয়া লখীমপুর ত্যাগ তাহদের পৈতৃক নিবাস জাঠীগ্রামে উঠি আসেন । কুমারজীব—যে সকল বেন্ধ ভিক্ষু বৌদ্ধদৰ্শন, সা, ইত্য প্রভৃতি সংস্কৃত হইতে চীন ভাষায় অনুবাদ করিয়৷ ভারতীয় চিন্তার রত্নরাজি চীন দেশে প্রচার ও রক্ষণে যত্নবান হইয়াছিলেন, তিনি তাহাদের অন্যতম । তাঁহার পিত কুমারায়ণ ও পিতামহ কুমারদত্ত উভয়েই ভারতীয় হিন্দু ছিলেন ও বংশানুক্রমে রাজ-সচিবের কার্য্য করতেন । কুমারায়ণ এই সম্মানকর পদত্যাগ করিয়া প্রব্রজ) গ্রহণ করেন ও ভ্রমণ করিতে করিতে ভুল ভঘ্য হিমালয় অতিক্রম করিয়া চীন সীমান্তের অনতি দূরে মধ্য এসিয়ার অন্তর্গত এক মরূদ্যানে অবস্থিত কুচ রাজ্যে উপনীত হন । অর্থ্যজাতি হইতে উৎপন্ন ও অধ্য ভাষ৷ করেন এবং እ ግ– እኳr ভারতীয়-ঐতিহাসিক কুমারজীব ভাষী অধিবাসিগণের আবাস স্থল কুচ৷ রাজ্যের রাজ কর্তৃক সন্মানজনক উচ্চ পদ গ্রহণ করিতে অনুরুদ্ধ হইয়া, তিনি রাজপুরোহিতের পদ গ্রহণ করেন এবং রজিভগ্নী জীবার সহিত পরিণয় সুত্রে আপদ্ধ হন । এই মিলনের ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, পিতার নামের প্রথমাংশ ও মাতার নাম অনুসারে তাহার কুমারজীপ নামকরণ করা হয় । কুমারজীবের জন্মের অনতিকাল পরে জীপ স্বামীর সন্মতিক্রমে ভিক্ষুণী ব্রত গ্রহণ করিয়া, পুত্রের শিক্ষার জন্য সপুত্ৰ দেশ পর্য্যটনে বাহির হন । এই ভ্রমণ কালে তাহার কাশ্মীর, স-লে (বৰ্ত্তমান কাশগড়) ও য়ারখণ্ড গরিদর্শন করেন । কাশ্মীরে কুমীরজীব রাজ ভ্ৰাত বকুদত্তের নিকট হীনযান সৰ্ব্বাস্তিবদ, বিশেষ করিয়া ইহার স্থত্র ব; অগিম, স-লে বা কাশগড়ে সব্বাস্তি দর্শন এবং বেদ, কলা, দর্শন, জ্যোতিষ প্রভূতি ব্রাহ্মণ্য শাস্ত্র এবং অবশেষে য়ারিখণ্ডের রাজভ্ৰাতা স্থর্যাসোমের নিকট নাগাৰ্জ্জুন ও তাহার শিষ্ণু আৰ্য্যদেবের মহাযানদর্শন শাস্ত্র অধ্যয়ন ও মহাযানমতে দীক্ষা গ্রহণ করেন । অতঃপর মহাযানমত ও বৌদ্ধ সাহিত্য প্রচার তাহfর জীবনের ব্রত হইল । কুচায় প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া ত্রিংশবর্ষকাল তাহার সাহিত্য ও ধৰ্ম্মের উন্নতি বিধানে যত্নবান হইলেন ।