পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ কুম্ভকৰ্ণ। চিতোরপতি লাথার, রাঠোর বংশীয় মহিষী হংস পাই-এর গর্ভে রাণ। মুকুলজী জন্মগ্রহণ করেন । মুকুলজীর পুত্র রাণ। কুন্ত । তাহীর দুই বৈমাত্রে । ভ্রাতার নাম চুড়া ও রাঘব দেব । ১৪৩৩ খ্রী: অব্দে মহারাণ মুকুলজী কয়েকজন সদরের চক্রান্থে নিচ ত হন । তখন কুম্ভ অতি শিশু । তাহার পিতার মাতুল রণমল তখন চিতোরের সৰ্ব্বপ্রধান ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শিশু কুন্তুকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া নিজ মতে রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন । কিন্তু বয়ঃ প্রাপ্ত হইয়া কুম্ভ, রণমলের প্রভাব হইতে মুক্ত হইবার জগু গোপনে তাহার বধ সাধন করান (অনুমানিক ১৮৪৮ খ্ৰীঃ। রাণা কুম্ভ প্রায় পয়ত্রিশ বৎসর রাজত্ব করেন । এই সময়ের মধ্যে বহুবার তাহাকে, কখনও আত্মরক্ষীর জষ্ঠ, কখনও বা রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্খার বশীভূত হওয়ায়, রাজপুত ও মুসলমান রাজাদের সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত হইতে হইয়াছিল । তিনি প্রথমে নিজ রাজ্য সন্নিকটস্থ শিরোহী রাজ্য অধিকার করেন । তৎপরে ১৪৩৭ খ্রীঃ অব্দে তিনি মাহমুদ খিলজীর মালব রাজ্য আক্রমণ করেন । মুলতান মামুদ পরাজিত হইয়া পলায়ন করেন। রাণা কুন্ত মালব রাজ্যান্তর্গত সারঙ্গপুর নগর বিধ্বস্ত করিয়া নিজের বিজয় কীর্তি >○○ প্রতিষ্ঠা করেন । তৎপর আনুমানিক ১৪৪০ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি হারবিতা নামক রাজপুত রাজ্য আক্রমণ করেন এবং অশেষ চেষ্টার পর তাহা অধিকার করিতে সমর্থ হন । তাহার কয়েক বংসর পর মালবপতি পূৰ্ব্বোক্ত মাহমুদ শাহ পূৰ্ব্ব পরাজয়ের প্রতিশোধ লইবার জন্ত একাধিকবার চিতোর অভিযান করেন । সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ঐতিহাসিক ফিরিশ তা ঐ অভিযান সকলের বর্ণনা করিয়া লিখিয়ছেন যে, মালবপতি প্রতি অভিযানেই অসাধারণ সাফল্য লাভ করেন । কিন্তু পরবর্তা কালের ঐতিহাসিকগণ এহ বিবরণ বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া মনে করেন নাই । বস্তুতঃ ঐ সকল অভিধানের প্রকৃত ফলাফল যথোচিত বিচারসই গৃহিত হয় নাই | তাহার কতিপয় বর্ন পরে নাগোর নামক স্থানের অধিকার লইয়। গুঞ্জরাতের সুলতানের সহিত রাণ কুম্ভের যুদ্ধ উপস্থিত হয় । রাজ্যচ্যত শিরোহীপতি এই সংগ্রামে গুজরাতপতির সহিত যোগদান করেন । তৎসত্ত্বেও গুজরাত সৈন্স রাজপুত সৈন্তের হস্তে বিধ্বস্ত হয় । কিন্তু পর বৎসর মালব ও গুজ রাতের মিলিত শক্তির নিকট রাজপুত শক্তি পরাজিত হয় । রাণা কুম্ভ দুইবার পরাজিত হইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হন । পরে সন্ধি স্থাপিত হইলে বিজয়ী