পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলচন্দ্র অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন। রামামুজের প্রথম শিষ্য দাশরথি, দ্বিতীয় কুরেশ । তিনি প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য এবং অসামান্ত স্মৃতি শক্তির অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন ধনবান্‌ ভূম্যধিকারী এবং অতিশয় দানশীল ব্যক্তি ছিলেন । কুরেশর সহায়তায় আচার্য্য রামাতুজ ব্রহ্মস্থত্রের শ্ৰীভাষ্য রচনা করেন । তিনি অসাধারণ গুরুভক্ত ছিলেন । একবার চোলাধিপতি শৈব রাজেন্দ্র চোল রামানুজের প্রাণবধ করিবার সঙ্কল্প করিয়া, তাহাকে স্বীয় রাজসভায় ধরিয়া আনিবার জন্য দূত প্রেরণ করিলে, কুরেশ গুরুর বেশ ধারণ পূৰ্ব্বক রাজসভায় উপস্থিত হন এবং রাজার পণ্ডিতগণকে শাস্ত্রীয় বিচারে পরাস্ত করেন । তথাপি রাজা তাহাকে পুনঃ পুনঃ শৈব মত গ্রহণ করিতে আদেশ করিলে, কুরেশ অসন্মত হন। তখন চোলপতি তাহার চক্ষু নষ্ট করিয়া দেন । যাহা হওক, কথিত আছে, গুরু কৃপায় কাঞ্চীনাথ ভগবান বরদ রাজের করে তাহীর পুনরায় চক্ষু লাভ ঘটে । তিরোধানের পূৰ্ব্বে আচাৰ্য্য রাম মুজ যখন শ্রীরঙ্গমে অবস্থান করিতে ছিলেন, তখন কুরেগ কাবেরী তীর্থে পত্নী ও শিষ্যমণ্ডলী পরিবৃত হইয়া সজ্ঞানে দেহত্যাগ করেন । জীবনী-কোষ سواریخ আচাৰ্য্য কুরেশের দুই পুত্ৰ—পরাশর ভট্টাচাৰ্য্য ও বেদব্যাস ভট্টাচাৰ্য্য । রামানুজাচার্য্য পরাশর আচার্য্যকে ধৰ্ম্ম পুত্ররূপে গ্রহণ করেন এবং মঠেই র্তাহীকে পালন করেন । র্তাহার শিক্ষা দীক্ষা এবং বিবাহ আচার্য্যের নির্দেশ অনুসারেই অনুষ্ঠিত হয় । ইনি আচার্য্যের অতিশয় প্রতিভাজন হইয়া বেদান্তাচার্য্য নাম প্রাপ্ত হন এবং উত্তরকালে বৈঞ্চব সমাজের নেতা হন । কুরেশচায্যের স্থিতিকাল খ্ৰীষ্টীয় একাদশ শতকে । কুলচন্দ্র –(১) গজনীর অধিপতি সুলতান মাহমুদ ১০১৮ খ্ৰীঃ অব্দে কনৌজ, মথুরা বিধ্বস্ত করেন । এই সময়েই তিনি মহাওয়ান নামক দুর্গও আক্রমণ করেন । দুর্গপতি কুলচন্দ্র এই প্রবল শক্রর সহিত প্রাণপনে যুদ্ধ করিয়াও দুর্গ রক্ষায় অসমর্থ হইলেন । তখন তিনি পলায়ন করিতে অভিলাষী হইয়া হস্তীপৃষ্টে আরোহণ পূৰ্ব্ব নদী পার হইবার উপক্রম করিলেন । এমন সময়ে শক্র কর্তৃক আক্রান্ত হইলেন । শক্রহস্তে পতিত হওয়ার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় মনে করিয়া তিনি প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করিয়া পরে স্বয়ং আত্ম হত্যা করিলেন । কুলচন্দ্র, মহারাজা (২)– তিনি মণিপুরপতি কীৰ্ত্তিচন্দ্র ধ্বজ সিংহের অন্ততম পুত্র । ১৮৮৬ খ্রী; অব্দে কীৰ্ত্তিচন্দ্রের