>QS) ভবন, উদ্যান বাট অশ্বশাল, গোলা ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণকিশোর রচনায় অসাধারণ ক্ষমতা ছিল । বাটী প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ ও প্রশস্ত জলাশয় উপস্থিত পাদপূরণেও র্তাহার অসা খনন করিয়া সহরের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করিয়াছিলেন । তদবধি র্তাহার রাণঘাটের পালচৌধুরী নামে খ্যাত হন। ১৮১৪ খ্ৰীঃ অব্দে মাকুইস অব হেষ্টিংস রাণাঘাট পরিদর্শনকালে, তাহাকে রাজা উপাধি দিবার প্রস্তাব করেন । কিন্তু কৃষ্ণকান্ত সম্মত না হওয়ায়, পূৰ্ব্বোক্ত “পালচৌধুরী উপাধি মঞ্জুর করিয়া আসাশোটা ব্যবহারের অমুমতি প্রদান করেন । তদবধি তাহারা অtসাশোট ব্যবহার করিয়া আসিতেছেন। কৃষ্ণকান্ত যেমন ধন উপার্জন করিয়াছিলেন তেমনই সদ্ব্যয়ও তাহার যথেষ্ট ছিল । কৃষ্ণকান্ত বিদ্যাবাগীশ–নদীয়াধিপতি মহারাজ গিরিশচন্দ্রের (১৮০২১৮৪১ খ্ৰীঃ) রাজসভার একজন প্রধান স্যাৰ্ত্ত পণ্ডিত। তিনি ন্যায় ও স্মৃতি উভয় শাস্ত্রেই সুপণ্ডিত ছিলেন ৷ ‘শব্দশক্তি প্রকাশিকা’, নামক ন্যায়শাস্ত্র গ্রন্থ র্তাহারই রচিত। তস্তিন্ন তিনি জীমূত বাহন কৃত দায়ভাগের একটী টীকা এবং ‘গোপাল লীলামৃত” নামক একটি গ্রন্থও রচনা করেন । কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী, রসসাগর~— তিনি নদীয়া কৃষ্ণনগরের রাজা গিরিশ চন্দ্রের ( ১৮৪২-১৮৪১ খৃ: ) রাজ ধারণ ক্ষমতা ছিল । ১১৯৮ বঙ্গাব্দে ( ১ ৭৯১ খৃঃ ) তিনি নদীয়া জিলার বাগেtয়ানের নিকটস্থ বাড়েবীকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । বঙ্গাব্দে কন্যার অtলয়ে শান্তিপুরে তিনি পরলোক গমন করেন । তিনি ংস্কৃত, বাঙ্গল, হিন্দী, ফারসী ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন । র্তাহীর সমস্ত পূরণের অসাধারণ ক্ষমতার একটা দৃষ্টাম্ভ নিম্নে দেওয়া গেল । সমস্তা— শমন ভবনে কেন তুমি অগ্রগামী ? শক্তিশেলে লক্ষ্মণ পড়িলে রণভূমি, কান্দেন ব্যাকুল হয়ে জগতের স্বামী । শিক্ষা দীক্ষা বিবাহ সভায় আগে আমি, শমন ভবনে কেন, তুমি অগ্রগামী ? কৃষ্ণকিশোর তর্কালঙ্কার-ওয়ারেন হেষ্টিংসের আজ্ঞাক্ৰমে যে এগারজন পণ্ডিত বিবাদার্ণব সেতু নামক গ্রন্থ সঙ্কলন করেন, কৃষ্ণকিশোর র্তাহীদের অন্যতম । কালীশঙ্কর বিদ্যাবাগীশ দেখ । কৃষ্ণকিশোর বিদ্যাসাগর-ত্রিপুর জেলার জনৈক দার্শনিক পণ্ডিত। বুড়ীশ্বর গ্রামে তাহার নিবাস ছিল । ত্রিপুরার বিখ্যাত পণ্ডিত শিবকিস্থর বিদ্যাভূষণ র্তাহার পিতামহ । তিনি শেষ জীবনে কাশীতেই ছিলেন এবং একজন পণ্ডিত శి( ) সভায় একজন বিখ্যাত হাস্তরসিক কৰি বলিয়া তাহার খ্যাতিও ছিল। কয়েকবৎসর ছিলেন। র্তাহার উপস্থিত কবিতা পূৰ্ব্বে তিনি পরলোক গমন করিয়াছেন।
