পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকুমার মিত্র মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশে যে অসহযোগ আন্দোলন উপস্থিত হয়, কৃষ্ণকুমার তাহার যৌক্তিকতায় সন্দীহান হুইয়া, সেই আন্দোলনে যোগদান করেন নাই। জনসাধারণের অপ্রিয় হইবার আশঙ্কায় বিন্দুমাত্র বিচলিত না হইয়। তিনি সঞ্জীবনী পত্রিকায় ঐ আন্দোলনে বিরুদ্ধে লেখনী পরিচালনা করেন । কোনও প্রকার কটুক্তি, ভীতি প্রদর্শন, অনুরোধ অথবা উপহাস র্তাহীকে নিজ মতের বিরুদ্ধ কাৰ্য্য করাইতে পারে নাই । এই অসাধারণ স্বমত দৃঢ়তা তাহার শেষ জীবন পৰ্য্যন্ত একভাবেই ছিল । প্রধানতঃ কলিকাতায় থাকিয়৷ ব্যাপক ভাবে রাজনীত্তি আন্দোলনে নিযুক্ত থাকিলেও গ্রামের উন্নতির জন্য সৰ্ব্বদাই সচেষ্ট থাকিতেন । নিজ গ্রামে কৰ্ম্মপটু ব্যক্তিদের অন্ন সংস্থানের জন্য নানাভাবে সহজ শিল্পের আয়োজন করেন । ঐসকল ব্যক্তিদের প্রস্তুত দ্রব্য নানাস্থানে বিক্রয় করাইবার ব্যবস্থা করিয়া তিনি বহু দরিদ্র পরিবারের অন্ন সংস্থানের উপায় করেন । রাজনীতিক জীবনের কার্য্যাবলীর এক প্রধান অংশ সঞ্জীবনী সম্পাদন । তিনি চিরদিন এক আদর্শ লইয়া সঞ্জীবনী সম্পাদন করিয়াছেন। ঐ পত্রিকা সাহায্যে তিনি আসামের চা বাগানের জীবনী-কোষ Ꮌ©Ꮼ জন্য যে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত করেন তাহা বাস্তবিকই অভূতপূৰ্ব্ব। তাহার আন্দোলনে বিব্রত হইয়া, চা-করগণ প্রকাগু ভাবে তাহীর মস্তকের জন্য পাঁচশত টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে । পূৰ্ব্বোক্ত দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় এবিষয়ে তাহার প্রধান সহায় ছিলেন । ‘আসামে লেগ্রীর বংশধর? নামে, জালাময়ী ভাষায় ধারাবাহিক ভাবে সঞ্জীবনীতে যে সকল বিবরণ প্রকাশিত হইতে থাকে, তাহারই ফলে জনসাধারণের মধ্যে তাহীর আন্দোলন আরম্ভ হয়, এবং তৎফলে কুলিদের প্রতি অত্যাচার অনেকাংশে প্রশমিত ३ु ! কৃষ্ণকুমীর কংগ্রেসের প্রথম হইতেই উহার একজন প্রধান ভক্ত ছিলেন । তৎকালীন বাঙ্গালা সাময়িক পত্ৰসকলের মধ্যে সঞ্জীবনীই কেবল জনসাধারণকে কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট করিবার জন্য চেষ্টা করেন । শেষ জীবনে, কংগ্রেসের কার্য্য প্রণালী র্তাহার বিশ্বাস বিরুদ্ধ হইলেও, তিনি কখনও প্রকাষ্ঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মত প্রচার করেন নাই । সঞ্জীবনী পত্রিকার সাহায্যে তিনি দেশের সর্বপ্রকার কল্যাণকর কার্য্যে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করিতেন। আবখ্যক মত সরকারের কার্য্যে তীব্র কুলিদের প্রতি অত্যাচার নিবারণের প্রতিবাদ করিতেও তিনি কখনও