পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Wが● দার হইতে অধস্তন সপ্তম পুরুষ । তাহার পিতার নাম রঘুরাম রায় । ১৭১ • খ্ৰীঃ অব্দে তাহার জন্ম হয় । তিনি বাল্যকাল হইতেই অসাধারণ মেধাবা ছিলেন । সংস্কৃত ও ফারসী ভাষায় তাহার সবিশেষ অধিকার ছিল । তিনি সঙ্গীতশাস্ত্রে ও দিশেষ নিপুণ ছিলেন । ১৭২৮ খ্ৰীঃ আব্দে রঘুরাম রায়ের মৃত্যু হয় । তদনুজ রামগোপালকেই, রঘুরাম স্বীয় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নির্দেশ করিয়া যান । কোশলী কৃষ্ণচন্দ্র পূৰ্ব্বেই নবাব মালীবর্দ খার দরবারে উপস্থিত হইয়। নিজনামে জমিদারীর ফারমান লা গু করেন । কৃষ্ণচন্দ্র স্বয়ং দ্বিান এবং জ্ঞানামুরাগী ব্যক্তি ছিলেন । র্তাহার অধিকার কালে নবদ্বীপ জ্ঞানচর্চার এক প্রধান কেন্দ্র হইয়াছিল । তtহার রাজসভাও নানাদিগদেশাগত পণ্ডিত ও সুধীগণের সমাগমে মুখরিত থাকি ত ; বহু কবি ও পণ্ডিত ব্যক্তি র্তাহার নিকট হইতে নানাবিধ সাহায্য প্রাপ্ত হইতেন । র্তাঙ্গার ন্যায় জ্ঞানানুরাগী ও জ্ঞানীব্যক্তিদের পরম সহায় ভূম্যধিকারী তখনকার সময়ে বাঙ্গালাদেশে আর ছিল না । ত্রিবেণীর জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন, গুপ্তিপাড়ার বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার, প্রসিদ্ধ কৰি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর, সাধক কবি রামপ্রসাদ প্রভৃতি মহারাজ কৃষ্ণ ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণচন্দ্র চন্দ্রের সমসাময়িক ছিলেন এবং সকলেই র্তাহার নিকট হইতে নানা প্রকারে সাহায্য পাইয়াছিলেন । কৃষ্ণচন্দ্রের অধিকার কালে নদীয়ার সৰ্ব্ব প্রকার উন্নতি হয়। র্তাহার অধিকারের সীমানাও বহুদুর বিস্তুতি লাভ করে । উত্তরে পলাশী হইতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পূৰ্ব্বে ধুলিয়াপুর হইতে পশ্চিমে ভাগীরথী পর্য্যস্ত উছ বিস্তুতি লাভ করে। এই সমগ্র অধিকার চৌরাশী পরগণায় বিভক্ত ছিল । পলাশী যুদ্ধের পর ইংরেজ কোম্পানী দেওয়ানী লাভ করিয়া রাজস্ব সংক্রান্ত বহু নুতন বা বস্থা প্রবৃত্ত হন। সেই সুযোগে কৃষ্ণচন্দ্র তাহার সমস্ত সম্পত্তি নিজ পুত্ৰ শিবচন্দ্রের নামে নুতন বন্দোবস্ত করিয়া লইলেন এবং ১৭৮০ খ্রী: অব্দে এক *অভিলষিত ব্যবস্থাপত্র’ (Will) দ্বারা শিবচন্দ্রকেই তাহার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী মনোনীত করেন । কৃষ্ণচন্দ্রেব জীবদ্দশায় বঙ্গের রাজনৈতিক বহু পরিবর্তন সংঘটিত হয় । পলাশীর যুদ্ধের প্রাক্কালে, ক্লাইভ নবাব সিরাজউদৌল্লার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতে মনস্থ করিয়া, মহারাজ। কৃষ্ণচন্দ্রের সাহায্য প্রার্থন করেন এবং অনেক বিষয়ে তাহার পরামর্শ মতই কাজ করেন ; যুদ্ধের পর ক্লাইভ কৃতজ্ঞতার চিহ্ন স্বরূপ কয়েকটি কামান কৃষ্ণচন্দ্রকে উপহার প্রদান করেন এবং