>ፃፃ পদে নিযুক্ত করেন । এই সময় রাজবল্লভের প্রতিপত্তি এতদূর বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, তাহার মধ্যম পুত্র কৃষ্ণদাসকে লোকে নবাব বলিয়া সম্বোধন করিত । নিবfইস মোহাম্মদের মৃত্যুর পরে, তাহার পত্নী ঘেসেটা বেগমের তিনি সৰ্ব্ব বিষয়ে পরামর্শদাতা হইয়াছিলেন । বেগমের ইচ্ছা ছিল যে আলীলদা খাঁর মৃত্যুর পরে তাহার পোষ্যপুত্র এক্রাম-উদ্দৌলা বাঙ্গালীর নবাব হন । এইজন্য রাজ রাজবল্লভ দশ সহস্র সৈন্ত সহ মুর্শিদাবাদের এক ক্রোশ দক্ষিণে মতিঝিল নামক উদ্যান মধ্যে ছাউনী করিলেন । যুদ্ধে জয় পরাজয় অনিশ্চিত মনে করিয়া, তিনি সমস্ত ধন সম্পত্তি সহ তাহার দ্বিতীয় পুত্র কৃষ্ণদাসকে কলিকাতায় ইংরেজদের আশ্রয়ে প্রেরণ করেন । কৃষ্ণদাস উমিচাঁদের গৃহে অবস্থান করিতে লাগিলেন । সিরাজ ইহাতে অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া রাজবল্লভকে কৰ্ম্মচু্যত করিলেন এবং কৃষ্ণদাসকে র্তাহার হস্তে অর্পণ করিতে ইংরেজদিগকে চিঠি লিখিলেন । ইংরেজের অসম্মত হইলে, নবাব কলিকাতা আক্রমণ করিয়া, তাহাদিগকে পরাস্ত করিলেন। কৃষ্ণদাস ও উমিচাদ বন্দী অবস্থায় নবাব সমীপে নীত হইলে, নবাব তাহীদের প্রতি আতিশয় সমাদর প্রদর্শনপূর্বক, খিলাত প্রদান করিলেন S ひーミ8 ভারতীয়-ঐতিহাসিক কৃষ্ণদাস বড়ই পরিতাপের বিষয় নবীশেরএই সৌজন্যেও তাঁহার তাহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতে বিরত হইলেন না । অচিরকাল মধ্যেই তাহদের চক্রান্তে সিরাজউদৌল্লা পরাজিত ও নিহত হইলেন । অন্ততম বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর খ নবাবী পদ প্রাপ্ত হইলেন । এই সময়ে রাজবল্লভ প্রধান মন্ত্রী এবং তৎপুত্র কৃষ্ণদাস ঢাকার শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইলেন । এই সময়ে দিল্লীর সম্রাট শাহ আলম রাজবল্লভকে "মহারাজ। রাজবল্লভ রায় রাইয়া সলার জঙ্গ বাহাদুর উপাধি প্রদানপূর্বক মুঙ্গেরের সুবেদার পদ প্রদান করেন । তখন কৃষ্ণদাস রাজাবাহাদুর উপাধি পাইরা মীরজাফরের প্রধান মন্ত্রী হইলেন । বলা বাহুল্য এই সময়ই পিতা পুত্রের চরম উন্নতির সময় । ইহার কিছুকাল পরেই মীরজাফর খ। ইংরেজ কর্তৃক পদচ্যুত ও র্তাহীর জামাতা তৎপরিবৰ্ত্তে নবাব হইলেন । মীরকাশিম তাহtদিগকে ইংরেজদের পক্ষাবলম্বী মনে করিয়া সন্দেহ করিতেন । সেজন্ত পিতা ও পুত্র উভয়কে মুঙ্গের দুর্গে অবরুদ্ধ করেন । ইতিমধ্যে ইংরেজদের সহিত মীরকাশিমের মনোমালিন্য বৃদ্ধি পাইয়া যুদ্ধ সংঘটিত হইল। মীরকাশিম গিরিষ্কার যুদ্ধে পরাজিত হইয়া উদয়নালায় আশ্রয় গ্রহণ করিবার পূৰ্ব্বে, পিতা পুত্র উভয়কে গলায় বালুকপুর্ণ
