পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণবিহারী পদক’ দিবার ব্যবস্থা হয় । তাহারই প্রধান চেষ্টায় কেশবচন্দ্রের ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের ভার সৰ্ব্বসাধারণের উপর প্রদত্ত হয় এবং তজ্জন্ত ন্যাসরক্ষক মণ্ডলী ( Trustees ) নিযুক্ত হন। মৃত্যু পৰ্য্যন্ত তিনি ব্রহ্মসমাজের সর্বাঙ্গিন উন্নতি ও প্রসারের জন্য প্রভুত পরিশ্রম করিয়া क्रिॉब्रां८छ्न । কৃষ্ণবিহারী সুলেখক ও ছিলেন। তৎরচিত ‘অশোক চরিত’ বাঙ্গাল। ভাষায় অশোকের প্রথম ধারাবাহিক কাহিনী তদ্ভিন্ন অশোক চরিত (নাটক); নববিধান কি? প্রভূতি.আরও কয়েক খানি গ্রন্থ তিনি প্রণয়ন করেন। তিনি বুদ্ধদেবের একখানি বিস্তুত জীবন চরিত লিখিতে আরম্ভ করেন কিন্তু উহা শেষ করিয়া যাইতে পারেন नांशे । ইংরেজি, ফরাসী, সংস্কৃত ও পালি ভাষায় তাহার বিশেষ অধিকার ছিল । শিক্ষক রূপে তিনি সৰ্ব্বদাই ছাত্রদিগের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য চেষ্টা করিতেন । তৎকালীন প্রখ্যাতনাম ইংরেজ অধ্যাপকগণ ও র্তাহার গুণগ্রামে মুগ্ধ ছিলেন। র্তাহার মৃত্যুর পর বৎসর, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিদীন Histoj ( Convocation ) Fitz staivarg IFEF (Sir Alfred Croft ) ছাত্রবৃন্দকে সম্বোধন করিয়া বলেন যে কৃষ্ণবিহারীর জীবন সকল ছাত্রেরই জীবনী-কোষ >切やや আদর্শ হওয়া উচিত । সকলেই তাচার জীবন অনুধাবন করিয়া উপকৃত হইবেন । কেশবচন্দ্রের মৃত্যুর পর কৃষ্ণবিহারীরও স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয় । একাধিক বার গুরুতর পীড়ার আক্রমণ হইতে কোনও ক্রমে রক্ষণ পাইয়া ১৮৯৫ খ্ৰীঃ অব্দের মে মাসে (জ্যেষ্ঠ ১৩১২) বহুমূত্র রোগে তিনি পরলোক গমন করেন । কৃষ্ণবিহারী সোম—তিনি চুচুঁড়ার জমিদার ঘনশ্রাম সোম মহাশয়ের আট পুত্রের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন । ১৭৭০ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার জন্ম হয় । তাহার পিতা, পিতামহ প্রভৃতি পুরুষানুক্রমে ওলন্দাজ সরকারে দেওয়ানী করিয়া প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তিনি ওলন্দাজ গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া ইংরেজ সরকারের অধীনে প্রথমে একটী সামান্ত কৰ্ম্মে পরে মুনসেফের পদ প্রাপ্ত হইয়া বহুকাল ত্রীরামপুরে উক্ত পদে নিযুক্ত ছিলেন । র্তাহার দুই পুত্র মদনগোপাল ও রামগোপাল মুনসেফ হইয়াছিলেন । এই বংশ বহু সৎকাৰ্য্যর জন্য বিখ্যাত । বলভদ্রসেীম QWግ ! কৃষ্ণভট্ট– (১) তিনি কালিদাস কৃত রঘুবংশের অন্যতম টীকাকার । কৃষ্ণভট্ট— (২) একজন আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রবেত্ত। ঔষধি প্রকার নামক গ্রন্থ র্ত হয় রচিত ।