পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণরাম কৃষ্ণরাম বস্থ – হুগলী জেলার অন্তর্গত তড় গ্রামে তাহার জন্ম হয় । র্তাহার পিতার নাম দয়ারাম বসু । প্রথমে কলিকাতায় লবণের ব্যবসায় ও পরে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে হুগলীর দেওয়ানী করিয়া তিনি বিপুল বিত্তের অধিকারী হন । বঙ্গদেশ ভিন্ন কাশী, কটক, পুরী, ভাগলপুর প্রভৃতি বঙ্গের বাহিরে বহুস্থানে দান ও জনহিতকর কার্য্যের জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। হীরামপুরের মাহেশের রথ তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্বগ্রাম তড়া হইতে মথুরাবাট পৰ্য্যন্ত একটা পথ নিৰ্ম্মাণ করান ; তাহার নাম অনুসারে উক্ত পথ কৃষ্ণজাঙ্গাল নামে পরিচিত । তীর্থ যাত্রীদের পথক্লেশ প্রশমনের জন্য তিনি পুরী হইতে কটক পর্যন্ত প্রায় বিংশ ক্রোশ পরিমিত পথের উভয় পাশ্বে আম্র বৃক্ষশ্রেণী রোপণ করাইয় উহাকে ছায়াশীতল করেন এবং তীর্থযাত্ৰীগণের জলকষ্ট নিবারণের জন্স পুরীর বাহিরে প্রকাও পুষ্করিণী খনন করান । পুরীতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ নিৰ্ম্মাণ র্তাহার অপর কীৰ্ত্তি, এই রথের ব্যয় নিৰ্ব্বাহের জন্ত তিনি বহু টাকা আয়ের সম্পত্তি দান করিয়াছিলেন । ভাগলপুরের সন্নিকটে গঙ্গাগৰ্ভ হইতে উখিত এক পৰ্ব্বতের উপর তিনি এক শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ জীবনী-কোষ ولاه لا করিয়া পরবর্তী জীবনে তিনি কাশীবাসী হন । সেখানেও তিনি বহু শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন । কৃষ্ণরামের পুত্র রামপ্রসাদ একজন সাধক ও মুকবি ছিলেন । রামপ্রসাদের পুত্ৰ সাধু রামগতি (লাল রামগতি ) পঞ্চাশ বৎসর বয়সে যোগভ্যাস মনসে কাশীবাসী হইয়া নববই বৎসর বয়সে পরলোক গমন করিলে তাহার সহধৰ্ম্মিণী মণিকণিকা ঘাটে স্বামীর চিতায় প্রবেশ পূৰ্ব্বক তাহার সহগমন করেন । রামগতি “মায়। তিমির চন্দ্রিক।” প্রবোধ চন্দ্রোদয়’ প্রভৃতি ংস্কৃত গ্রন্থ বtঙ্গtলায় অনুবাদ করেন । র্তাহার কতৃ আনন্দময়ীও অসাধারণ বিদুষী ও কবিত্বশক্তিশালিনী ছিলেন । কৃষ্ণরাম ভট্টাচাৰ্য্য, দ্যায়বাগীশ– এই বিখ্যাত পণ্ডিতের পূর্ব নিবাস নদিয়া জিলার অন্তর্গত শাস্তিপুরের নিকটবৰ্ত্তী মালীপোতা গ্রামে ছিল । আসাম প্রদেশের আহম বংশীয় নরপতি রুদ্রসিংহ, হিন্দু ধৰ্ম্মানু্যায়ী ক্রিয় ও অনুষ্ঠানীদি করিতে অভিলাষী হইয়। ( ১৬৯৬—১৭১৪ খ্ৰীঃ আঃ ) তাছাকে বঙ্গদেশ হইতে আনয়নপূর্বক কামরূপে প্রচুর বৃত্তি ও ভূমি প্রদান করিয়া স্থাপন করেন এবং স্বয়ং তাছার নিকট শক্তি মন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করেন। কামাখ্যা দেবীর মন্দির রক্ষার ভার তাহার উপর অর্পিত হয়। রাজা রুদ্রসিংহের মৃত্যুর