পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণানন্দ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ — এই অসাধারণ পণ্ডিত খ্ৰীঃ পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে জন্ম গ্রহণ করিয়া ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমভাগে নবদ্বীপে বর্তমান ছিলেন । তন্ত্রের পঞ্চ মকারের ( মৎস্ত, মাংস, মদ্য, মৈথুন ও মুদ্রা ) প্রাদুর্ভাবকালে তিনি আবির্ভূত হন। তা হার পিতার নাম মহেশ্বর গৌড়ীচার্য্য এবং কনিষ্ঠ ভ্রাতার নাম মাধবীনন্দ সহস্রাক্ষ। মাধবানন্দ পরম বৈঞ্চব ছিলেন । বৰ্ত্তমান কালের নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত অজিত নাথ দ্যায়রত্ন তাহারই বংশধর । তান্ত্রিক ব্যভিচার হইতে দেশকে রক্ষা করিবার জন্ত, তিনি তন্ত্রসার নামে একখানা উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা করেন । র্তাহার গ্রন্থ প্রকাশিত হইলে, দেশ হইতে বহু পরিমাণে তান্ত্রিক ব্যভিচার দূরীভূত হয়। বর্তমান সময়ে যে কালী মূৰ্ত্তির পূজা হয়, তাহা আগম বাগীশ কর্তৃকই প্রচারিত হইয়াছিল। কৃষ্ণানন্দের পৌত্র গোপাল তন্ত্রদীপিকা’ নামে এক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এই বংশে অনেক পণ্ডিত ও সাধক জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন । কৃষ্ণান স্ট্র তীর্থ ( আচাৰ্য্য অচ্যুত ) – একজন অদ্বৈত বাদী বৈদান্তিক । তিনি ‘কৃষ্ণালঙ্কার’ নামে অপ্লয় দীক্ষিতের ‘সিদ্ধান্তলেশের টীকা ও বনমালা’ নামে তৈত্তিরীয় উপনিষদের শাঙ্কর ভাষ্যের টীকা প্রণয়ন করেন। কাবেরী জীবনী-কোষ ২০২ তীরবত্তী নীলকণ্ঠেশ্বর কৃষ্ণানন্দের আবির্ভাব স্থান এবং স্বয়ং প্রকাশানন্দ সরস্বতী কৃষ্ণানন্দের শিক্ষণগুরু ছিলেন । কৃষ্ণানন্দ অতিশয় কৃষ্ণভক্ত ছিলেন । অদ্বৈতদর্শনে তাহার গভীর জ্ঞান ছিল । তাহার রচিত টীকাদ্বয় তাহার স্বক্ষ দার্শনিক দূরদৃষ্টির পরিচায়ক। এত পণ্ডিত্য সত্ত্বেও কৃষ্ণানন্দের চরিত্রে অভিমানের লেশমাত্র ছিল না । কৃষ্ণানন্দ বাচস্পতি— ( ১ ) তিনি কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের (১৭২৮ — ১৭৮২ খ্ৰীঃ অবদ ) অন্যতম সভাপণ্ডিত ছিলেন । দ্যায়শাস্ত্রে তাঁহার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল । কৃষ্ণানন্দ বাচস্পতি—( ২ ) নদিয় জিলার চাপিলা গ্রামের অধিবাসী । তিনি একজন অসাধারণ জ্যোতিষী ছিলেন । সুপ্রসিদ্ধ। রাণীভবানী একটী পুরশ্চরণ উপলক্ষে গ্রহণ গনণায় আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা প্রদর্শন করিয়া, পুরস্কার স্বরূপ প্রচুর ব্রহ্মত্র ভূমি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । কৃষ্ণানন্দ ব্যাস রাগসাগর – সঙ্গীত শাস্ত্রে তাহার অসাধারণ জ্ঞান ছিল । তিনি স্তার রাজ রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের আশ্রয়েই পালিত হইয়া ছিলেন এরং রাজা বাহাদুরই তাহার সঙ্গীত নৈপুণ্যে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে "রাগ সাগর' উপাধি দেন। রাজবাটীত্বে সঙ্গীতের আলোচনা সভায় তিনিই মীমাংসক হইতেন। রাজা রাধাকান্ত